বৈশ্বিক ব্র্যান্ডিংয়ে সিএনএনআইসির সঙ্গে চুক্তি করছে বাংলাদেশ
বাংলাদেশের সাফল্যকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরতে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সিএনএন ইন্টারন্যাশনাল কমার্শিয়ালের (সিএনএনআইসি) সঙ্গে একটি অংশীদারিত্ব চুক্তি করবে সরকার।
বাংলাদেশ জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিডিপি) কাছ থেকে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বের হয়ে যাওয়ার সুপারিশ পাওয়ার আগেই গত ২২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের সক্ষমতার চিত্র বিশ্বব্যাপী প্রচারের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে প্রস্তাব দেয় সিএনএনআইসি। এটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে আর্ন্তজাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য একটি চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছিল।
সিএনএনআইসি ব্র্যান্ড ও পাবলিশারদের জন্য তাদের ব্যবসা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী দর্শকদের কাছে টিভি, ডিজিটাল ও সামাজিক প্ল্যাটফর্মগুলোতে প্রচারণা চালিয়ে থাকে।
জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল সিএনএনের অ্যাডভার্টাইজিং প্ল্যাটফর্ম সিএনএনআইসি যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে। তাদের লিংকডইন অ্যাকাউন্ট থেকে জানা যায়, সিএনএন ইন্টারন্যাশনাল, সিএনএন এন এস্পাওল ও সিএনএন অ্যারাবিকের মতো ব্র্যান্ডের সমস্ত বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড সিএনএনআইসি সমন্বয় করে থাকে।
সিএনএনআইসির প্রস্তাব পাওয়ার চার দিন পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে ওই চুক্তি সইয়ের অনুমোদনের জন্য আবেদন করে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০২১ সাল বাংলাদেশের জন্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর। এ বছর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিব বর্ষ’ পালন করা হচ্ছে। বিষয়টি মাথায় রেখে সিএনএনআইসি বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব উত্থাপন করছে যে, তারা বিশ্বব্যাপী দর্শকদের সামনে বাংলাদেশের সাফল্য, ব্যবসা-বাণিজ্যের অগ্রগতি তুলে ধরতে চায়।
চিঠিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো (এসডিজি) অর্জন, ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চমধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের সমৃদ্ধশালী মর্যাদাশীল দেশ হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২৬ সালের পর এলডিসি থেকে উন্নতি হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিদ্যমান শুল্ক ও কোটা মুক্ত সুবিধা প্রত্যাহার হলে বাংলাদেশের রপ্তানির প্রায় সাত বিলিয়ন মার্কিন ডলার কমতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। এ ছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কৃষিক্ষেত্র চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে।
ফলে, বাণিজ্য ও ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সক্ষমতা ও দক্ষতা, পণ্য ও পরিষেবার গুণমান বিশ্বদরবারে সঠিকভাবে উপস্থাপন করা জরুরি।
দেশের গুরুত্বপূর্ণ ও ক্রমবর্ধমান শিল্প-বাণিজ্য খাতের সম্ভাবনাগুলো মার্চে সিএনএন-এ প্রোমো অডিও ভিজ্যুয়ালের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সম্প্রচার করা উচিত।
এটি আন্তজার্তিক বাজারে বাংলাদেশের বাণিজ্যেও সম্প্রসারণে, বিনিয়োগ বাড়াতে ও দীর্ঘমেয়াদে দেশের সামষ্টিক অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউট (বিএফটিআই) উদ্যোগটি সমন্বয় করবে এবং বেসরকারি খাত থেকে প্রয়োজনীয় অর্থায়ন করা হবে।
Comments