টোকিও অলিম্পিক: বিদেশি দর্শকহীন আয়োজনের সিদ্ধান্ত
বিদেশি দর্শক ছাড়াই আসন্ন গ্রীষ্মকালীন টোকিও অলিম্পিক এবং প্যারালিম্পিক আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাপান সরকার।
জাপানের সংবাদমাধ্যমের সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে আয়োজক কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে, জাপানে বসবাসকারী বিদেশিরা এর আওতায় পড়বে কিনা তা নিয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। অলিম্পিক আয়োজনকে কেন্দ্র করে নতুন করে কারো প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়েছে। এমনকি ২৫ মার্চের মশাল র্যালির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও কোনো দর্শক থাকছে না।
জাপান সরকার ও সামার গেমসের আয়োজক কমিটির প্রত্যাশা, আগামী সপ্তাহে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি এবং সংশ্লিষ্ট আরও দুই আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে বৈঠকের পর বিদেশি দর্শকের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হবে।
বিদেশি দর্শকের বিষয়ে জাপান সরকারের সিদ্ধান্ত বিশ্ব অ্যাথলেটিকস প্রধান সেবাস্টিয়ান কোয়েরের সমর্থন পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন টোকিও অলিম্পিকের আয়োজক কমিটির সভাপতি সেইকো হাশিমোতো।
তবে, কোয়ের মনে করেন- অলিম্পিকের লক্ষ্য হলো খেলোয়াড়দের জন্য সেরা পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং দর্শকদের স্টেডিয়ামে নিয়ে আসা।
এর আগে, গতকাল মন্ত্রী পরিষদের মুখ্যসচিব কাতো কাতসুনোবু জানিয়েছিলেন, বিদেশি দর্শকদের প্রবেশাধিকারের বিষয়টি আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি, টোকিও মেট্রোপলিটান গভর্নমেন্ট এবং গেমস পরিচালনা কমিটি ও অলিম্পিক বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী তামায়ো মারুকাওয়ার সঙ্গে যৌথ বৈঠকের পর জানা যাবে।
জাপানের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিনিয়ত করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কিছু এলাকায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অলিম্পিকের মতো বড় ক্রীড়া ইভেন্টের আয়োজন করা হলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জাপানে একটি জরিপে দেখা গেছে, দেশের ৭৭ শতাংশ মানুষ টোকিও অলিম্পিকে বিদেশি দর্শকের অংশগ্রহণের বিপক্ষে। মাত্র ১৮ শতাংশ জানিয়েছেন, বিদেশিদের নিয়ে তাদের কোনো সমস্যা নেই।
ইতোমধ্যে করোনার নতুন স্ট্রেইনের সংক্রমণ প্রতিরোধে অনাবাসী বিদেশিদের জাপানে প্রবেশ স্থগিতের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। তবে, জরুরি অবস্থা চলাকালে শুধুমাত্র বিদেশে বসবাসরত কিংবা বিদেশফেরত জাপানি নাগরিকরা দেশে ফিরতে পারবেন।
এবারের আসরে আটশ মিলিয়ন ডলারের টিকিট বিক্রির পরিকল্পনা ছিল অলিম্পিক কমিটির। কিন্তু, বিদেশি দর্শকরা অংশ নিতে না পারলে আয়োজক কমিটি বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারির কারণে এক বছর পিছিয়ে চলতি বছরের ২৩ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত টোকিও অলিম্পিক আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। একইভাবে প্যারাঅলিম্পিক ২৪ আগস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
Comments