আফগানদের দুই দিনে হারানো জিম্বাবুয়েই ফলোঅনে

ছবি: টুইটার

আবুধাবিতে প্রথম টেস্টে আফগানিস্তানকে উড়িয়ে দিয়ে মাত্র দুই দিনেই জিতে নিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। তাতে নবীন দলটির সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকে। তবে পরের টেস্টেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে দারুণ জবাব দিয়েছে আফগানরা। উল্টো জিম্বাবুয়েকে ফলোঅনে ফেলে কোণঠাসা করে ফেলেছে দলটি।

এদিন জিম্বাবুয়েকে তাদের প্রথম ইনিংসে ২৮৭ রানে অলআউট করেছে আফগানিস্তান। ফলে ফলোঅনে পড়ে শেন উইলিয়ামসের দল। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে ২৪ রান তুলে দিন শেষ করেছে তারা। এখনও ২৩৪ রানে পিছিয়ে আছে সফরকারীরা।

আগের দিন নিজেদের ইনিংসের শুরুটা ভালোভাবেই করেছিল জিম্বাবুয়ে। কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫০ রান করে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল তারা। এদিনের শুরুটাও মন্দ হয়নি। সবমিলিয়ে ওপেনিং জুটিতেই আসে ৯১ রান। এরপর কেভিন কাসুজা আউট হলে টারসাই মুসাকান্দাকে নিয়ে আরও ৪২ রানের জুটি গড়েছিলেন আরেক ওপেনার প্রিন্স মাসভাউরে। কিন্তু জুটি ভাঙতেই সাঈদ শিরজাদের তোপে পড়ে দলটি। স্কোরবোর্ডে ৫৬ রান যোগ করতে মিডল অর্ডারের ৫টি উইকেট হারায় তারা। ফলে বড় চাপে পড়ে দলটি।

এরপর শুরু হয় সেকান্দর রাজার লড়াই। সঙ্গী হিসেবে সপ্তম উইকেটে রেগিস চাকাভাকে পেয়েছিলেন তিনি। তাতে স্কোরবোর্ডে ৫৩ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটসম্যান। কিন্তু চাকাভা আউট হওয়ার পর আর কোনো ব্যাটসম্যান তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি। এক প্রান্তে স্ট্রাইক ধরে রেখে বেশ খানিকক্ষণ লড়াই করে রশিদ খানের বলে আউট হন তিনি। ফলে ২৮৭ রানে নিজেদের প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। 

দলের পক্ষে ৮৫ রান আসে রাজার ব্যাট থেকে। ১২৯ বলে ৭টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে নিজের ইনিংস সাজান তিনি। মাসভাউরে করেন ৬৫ রান। ১৪৩ বলে ৫টি চারে এ রান করেন তিনি। এছাড়া কাসুজা ও মুসাকান্দা দুইজনই ৪১ রান করে করেন। আফগানিস্তানের পক্ষে ১৩৮ রানের খরচায় ৪টি উইকেট নিয়েছেন রশিদ খান। এছাড়া আমির হামজা ৩টি ও শিরজাদ ২টি উইকেট নেন।

ফলোঅনে পড়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে অবশ্য তৃতীয় দিনে আর কোনো বিপদ হয়নি। ১৩ ওভার ব্যাট করে বিনা উইকেটে ২৪ রান করেছে দলটি। মাসভাউরে ৩ ও কাসুজা ২০ রান করে অপরাজিত রয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Sheikh clan’s lust for duty-free cars

With an almost decimated opposition and farcical elections, a party nomination from the ruling Awami League was as good as a seat in the parliament.

7h ago