টানা চতুর্থ হার বাংলাদেশ লিজেন্ডসের

টানা চতুর্থ হারে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিল বাংলাদেশ লিজেন্ডস।
ছবি: সংগৃহীত

মুখোমুখি পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা দুটি দল। রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজে যারা এখনও কোনো জয়ের মুখ দেখেনি। আর তলানির দুই দলের লড়াইয়ে এদিন হেসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ লিজেন্ডস। টানা চতুর্থ হারে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিল বাংলাদেশ লিজেন্ডস।

রায়পুরে শুক্রবার বাংলাদেশ লিজেন্ডসকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ লিজেন্ডস। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৯ রান করে বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেটাররা। জবাবে ৭ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় ক্যারিবিয়ানরা।

এদিন শুরুটা অবশ্য দারুণ করেছিল বাংলাদেশ দল। ওপেনিং জুটিতেই ৬৪ রানের জুটি এনে দেন নাজিমউদ্দিন ও মেহরাব হোসেন অপি। এরপর নাজিম আউট হলে আফতাব আহমেদকে নিয়ে আরও ৫৭ রানের জুটি গড়েন অপি। ফলে বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় বাংলাদেশ। মিডল ও লোয়ার অর্ডার ব্যর্থ হলেও শেষ পর্যন্ত স্কোরবোর্ডে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করে তারা।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন অপি। ৪৫ বলে ৫টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। ২৪ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৩ রান করেন আসর জুড়ে ছন্দে থাকা নাজিম। ২১ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় আফতাব করেন ৩১ রান। এছাড়া, চারে নামা মোহাম্মদ শরিফের ব্যাট থেকে আসে ২৬ রান। ১৩ বল খেলে ৩টি ছক্কা হাঁকান তিনি। বাকিদের অবদান সামান্য।

লক্ষ্য তাড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা হয় ঝড়ো। মাত্র ২.৫ ওভারে ২৯ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন উইলিয়াম পার্কিন্স ও রিডলি জ্যাকবস। এরপর অবশ্য ১২ রানের ব্যবধানে দুটি উইকেট তুলে ম্যাচে ফিরেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু জ্যাকবসকে সঙ্গে নিয়ে ৭২ রানের জুটিতে জয়ের ভিত গড়ে দেন কার্ক এডওয়ার্ডস। তাতে ১৮.৫ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৩ রান করে জয় নিশ্চিত করে উইন্ডিজের সাবেকরা।

ক্যারিবিয়ানদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন এডওয়ার্ডস। ২৮ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ২৩ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন কিংবদন্তি ব্রায়ান লারা। ৩০ বলে ৩৪ রান করেন জ্যাকবস।

বাংলাদেশের পক্ষে ৩৪ রানের খরচায় ২টি উইকেট নেন আব্দুর রাজ্জাক। এছাড়া, একটি করে উইকেট নিয়েছেন মুশফিকুর রহমান ও মোহাম্মদ রফিক। অন্যটি রানআউট।

Comments

The Daily Star  | English
BTCL Logo

BTCL’s Tk 463Cr 5G Project: Huawei’s win marred by controversy

It is often said that government files move at a snail’s pace in Bangladesh, slowing down the speed of project implementation.

11h ago