ফের হোপের ব্যাট চওড়া, লুইসের সেঞ্চুরি, সিরিজ জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
দানুশনা গুনাথিলেকা, দীনেশ চান্দিমালের ভিত এনে দেওয়ার পর ঝড় তুলে চ্যালেঞ্জিং স্কোর এনেছিলেন ওয়েইন্দু হাসারাঙ্গা। কিন্তু রান তাড়ায় ফের জ্বলে উঠলেন শেই হোপ। থামলেন আশি ছাড়িয়ে। এভিন লুইস তুলে নেন সেঞ্চুরি। তাদের বিদায়ের পর দ্রুত উইকেট হারালেও দলকে নিরাপদে জয়ের বন্দরে নেন নিকোলাস পুরান।
অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ওয়ানডে ২ বল আগে ৫ উইকেটে শ্রীলঙ্কাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এক ম্যাচ বাকি থাকতে স্বাগতিকরা জিতে নিয়েছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজও।
টস হেরে আগে ব্যাট করা শ্রীলঙ্কা করেছিল ২৭৩ রান। সেই রান পেরুতে লুইস করেন ১০৩, হোপের ব্যাট থেকে আসে ৮৪ রান।
২৭৪ রানের লক্ষ্য নেমে দুই ওপেনার মিলেই খেলতে থাকেন অনায়াসে। দলের যেন টলানোই যাচ্ছিল না। টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দিকে এগুচ্ছিলেন হোপ। পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে লুইসও ছিলেন তিন অঙ্কের দিকে। কিছুটা বেশি আগ্রাসী খেলতে থাকা লুইস পেয়ে যান ওয়ানডেতে পঞ্চম সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরি করার পর পরই লাকসান সান্দাকানের বলে বিদায় হয় তার। ১৯২ রানে গিয়ে পড়ে প্রথম উইকেট।
এরপর দ্রুত ফিরে যান হোপও। ১০৮ বলে ৮৪ করা হোপকে ছাঁটেন থিসারা পেরেরা। চারে নেমে ১০ বলে ১০ করা ড্যারেন ব্র্যাভোও শিকার হন থিসারার। এক পাশে পুরান রান এগিয়ে নিচ্ছিলেন। কিন্তু কাইরন পোলার্ড আর ফ্যাবিয়ান অ্যালানকে তড়িঘড়ি ফিরিয়ে নুয়ান প্রদীপ নিষ্প্রাণ ম্যাচে এনেছিলেন প্রাণ। তা অবশ্য এক পর্যায়ে শেষ ওভারে দরকার দাঁড়ায় ৯ রানের। দুই চারে তা মিটিয়ে ইতি টানেন পুরান। দলকে জিতিয়ে ৩৮ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন এই বাঁহাতি।
এর আগে লঙ্কানদের শুরুটা হয় বাজে। গুনাথিলেকাকা এক প্রান্ত আগলে রাখলেও শুরু থেকেই উইকেট খোয়াতে থাকে তারা। দিমুথ করুনারত্নে, পাথুম নিশাকা, ওসাদা ফার্নান্দোদের বিদায়ে ৫০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা। পাঁচে নামা চান্দিমালকে সঙ্গী পেয়ে পরিস্থিতি বদলানোর দিকে যান গুনাথিলেকা। ৬ষ্ঠ উইকেটে আসে ঠিক ১০০ রানের জুটি।
দারুণ খেলতে থাকা গুনাথিলেকা নার্ভাস নাইনটিজে শিকার হন জেসন মোহাম্মদের। ৯৬ বলে ৯৬ করে বোল্ড হয়ে যান তিনি। চান্দিমাল পরে আসেন বান্দারা আর থিসারার সঙ্গে ছোট আরও দুই জুটিতে দলকে পার করান ২০০। নিজে পেরিয়ে যান ফিফটি। তবে তার ইনিংসও থেমেছে কাজ অসমাপ্ত রেখে। তিনিও শিকার হন জেসনের পফ স্পিনের। জেসন এর আগে আউট করেন বান্দারাকেও।
শেষ দিকে লঙ্কানদের রান আড়াইশ ছাড়িয়ে অনেক দূর যাওয়ার কৃতিত্ব হাসারাঙ্গার। শেষ দিকে বরাবরই দলের চাহিদা মেটানো এই অলরাউন্ডার এবার করেন ৩১ বলে ৪৭ রান। যদিও শেষ পর্যন্ত আরও কিছু রানের ঘাটতি থাকার আক্ষেপে পুড়েছে লঙ্কানরা।
Comments