২০২২ সালের মধ্যে এশিয়ায় ১০০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহের প্রতিশ্রুতি

২০২২ সালের মধ্যে এশিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চলে করোনাভাইরাসের ১০০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও জাপান। যৌথ ওই প্রকল্পের আওতায় জনসন অ্যান্ড জনসনের এক ডোজের ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে।
কোয়াড গ্রুপভুক্ত ৪ দেশের প্রধানমন্ত্রী।

২০২২ সালের মধ্যে এশিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চলে করোনাভাইরাসের ১০০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও জাপান। যৌথ ওই প্রকল্পের আওতায় জনসন অ্যান্ড জনসনের এক ডোজের ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে।

আজ শনিবার বিবিসি জানায়, গতকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও জাপান— এই চার দেশের সমন্বয়ে গঠিত দ্য কোয়াড্রিলেটারাল সিকিউরিটি ডায়ালগের (কোয়াড) প্রথম বৈঠকে শীর্ষ নেতারা এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিনটি ভারতে উৎপাদিত হবে। জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র এতে অর্থায়ন করবে। লজিস্টিক সাপোর্ট ও প্রশিক্ষণ প্রদানসহ অন্যান্য সহায়তা করবে অস্ট্রেলিয়া।

২০২২ সালের মধ্যে ১০০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

শুক্রবার ওই চার দেশের নেতাদের ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ভ্যাকসিনের ডোজ সরবরাহের ক্ষেত্রে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেইক সুলিভান বলেন, ‘ভারতীয় উত্পাদন, মার্কিন প্রযুক্তি, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়ন এবং অস্ট্রেলিয়ার লজিস্টিক সাপোর্ট নিয়ে... (আমরা) এক বিলিয়ন ডোজ সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’

তিনি আরও জানান, ভ্যাকসিনগুলো আসিয়ান দেশগুলোর পাশাপাশি ‘প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ও তার বাইরেও’ সরবরাহ করা হবে।

ভারতীয় সংস্থা বায়োলজিক্যাল লিমিটেড জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিনের ডোজ উৎপাদন করবে। শুক্রবার জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিন প্রাথমিকভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) অনুমোদন পেয়েছে।

এই বৈঠক শেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক টুইটে বলেন, ‘জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার সহায়তায় ভারতের শক্তিশালী ভ্যাকসিন উত্পাদন ক্ষমতা বাড়ানো হবে।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago