আইপিএলের সুফল ঘরে তুলছে ইংল্যান্ড

টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে চার নম্বর। ঘরের মাঠে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও খেলতে পারছে না তারা। তবে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ড আছে একদম শীর্ষে। সীমিত সংস্করণে এমন দুর্দান্ত নৈপুণ্যের নেপথ্যের কারণ হিসেবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) এর কথা আলাদাভাবে বললেন ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)’র ক্রিকেট পরিচালক অ্যাশলে জাইলস।
দেশের খেলার সময়ও আইপিএলে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের খেলা নিয়ে সম্প্রতি দেশটিতে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। জুন মাসে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজে আইপিএলে থাকতে পারেন ইংল্যান্ডের কয়েকজন ক্রিকেটার। সেটা করলে এসব ক্রিকেটারদের বেতন কাটার প্রস্তাব করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন দেশটির কিংবদন্তি ক্রিকেটার জিওফ্রি বয়কট।
তার জবাবে স্কাই স্পোর্টসের এক আলোচনায় জাইলস জানান, নিউজিল্যান্ড সিরিজটা আগের সূচিতে না হওয়াতেই তৈরি হয়েছে এমন পরিস্থিতি, ‘আসলে সূচিতে ওই টেস্ট দুটি (নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে) যোগ হয়েছে পরে। আগের সূচিতে সময়টা ফাঁকা ছিল। আর আমরা ক্রিকেটারদের আগেই বলে দিয়েছি যে তারা পুরো আইপিএল খেলতে পারবে।’
শুক্রবার ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ অনায়াসে জিতে নেয় ইংল্যান্ড। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং সব বিভাগেই ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের দাপট দেখা গেছে।
ওয়ানডের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সাদা বলের ক্রিকেটে এই সাফল্য এনে দিতে নাকি ভূমিকা রাখছে আইপিএলই, এমন মতই দেন জাইলস, ‘খেলোয়াড়দের সঙ্গে আমরা কথা বলার সময় বলেছি ক্রিকেট সূচি নিয়ে ভাবতে। কী কী খেলা আছে তা দেখতে। কোন নির্দেশ দেইনি, জোর কিছু কিছু চাপিয়ে দেইনি। আইপিএল থেকে আমরা উপকার পাচ্ছি। মনে হয় আমাদের দলের ১২ থেকে ১৬ জন আইপিএলে খেলে।’
‘একটা সময় আমাদের খেলোয়াড়রা আইপিএলে সুযোগ পেত না। এই অভিজ্ঞতা নিতে পারত না। এখন আমাদের ক্রিকেটারদের প্রচুর চাহিদা আইপিএলে। সাদা বলের ক্রিকেটে আমরা কেন এখন এক নম্বর। এটাও তার একটা প্রমাণ।’
তবে মাত্রাতিরিক্ত ক্রিকেট নিয়েও আবার চিন্তিত ইংল্যান্ড। চলতি বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আর অ্যাশেজ ঘিরে ক্রিকেটারদের সেরা অবস্থায় রাখতে চায় তারা, ‘আমাদের ভাবনা এখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আর অ্যাশেজ। এই দুই বড় আসরের আগে খেলোয়াড়দের মানসিক ও শারীরিকভাবে ফিট রাখতে চাই। খেলোয়াড়দের চাপ নিয়ে তাই আমরা খুবই সতর্ক।’
Comments