জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে টেস্ট সিরিজ ড্র করল আফগানিস্তান
বুক চিতিয়ে লড়াই করেছিলেন অধিনায়ক শন উইলিয়ামস ও ডোনাল্ড টিরিপানো। ইনিংস হারের মুখে থাকা দলকে অসাধারণ এক জুটিতে ম্যাচ বাঁচানোর স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেননি। হার মানতেই হয়েছে তাদের। ফলে দ্বিতীয় টেস্ট জিতে সিরিজ সমতা আনে প্রথম টেস্টে দুই দিনে হারা সেই আফগানিস্তানই।
আবুধাবিতে রোববার টেস্টের পঞ্চম দিনে এসে জিম্বাবুয়েকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে আফগানিস্তান। ফলোঅনে পড়া জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১০৮ রানের লক্ষ্য ২৬.১ ওভারেই করে ফেলে দলটি।
এদিনের শুরুটা অবশ্য ভালোই করেছিল জিম্বাবুয়ে। আগের দিনের ৭ উইকেটে ২৬৬ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা দলটি প্রথম সেশনটা ভালোভাবেই কাটছিল। কিন্তু একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে একটি ভুল করে ফেলে টিরিপানো। ফলে সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৫ রান দূরে আউট হন। রশিদ খানের বল এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটি পেতে পেতেও পাননি। কার্যত তখনই শেষ হয় জিম্বাবুয়ের প্রতিরোধ।
তবে এক প্রান্ত ধরে রেখে শেষ পর্যন্ত উইকেটে ছিলেন অধিনায়ক উইলিয়ামস। খেলেছেন ক্যারিবিয়ার সেরা ইনিংস। কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারেননি। আফগানদের বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দিতে পারেননি।
এদিন এ দুই ব্যাটসম্যান ৬৩ রান যোগ করেন। সবমিলিয়ে অষ্টম উইকেটে এ দুই ব্যাটসম্যান গড়েন ১৮৭ রানের জুটি। টিরিপানো আউট হওয়ার পর অবশ্য ব্লেসিং মুজারাবানিকে নিয়ে ৩৩ রানের ছোট একটি জুটি গড়েছিলেন উইলিয়ামস। কিন্তু মুজারাবানি আউট হতে আর তিন রানের ব্যবধানে আউট হয়ে যান ভিক্টর নিউচিও। অপর প্রান্তে অপরাজিত থেকে যান উইলিয়ামস।
শেষ পর্যন্ত ১৫১ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক। এ রান করতে মোকাবেলা করেন ৩০৯টি বল। ১৩টি চার ও ১টি ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজান উইলিয়ামস। ২৫৮ বলে ৯৫ রানের ইনিংস খেলেন টিরিপানো। ১৬টি চারে নিজের এ রান সংগ্রহ করেন তিনি। এছাড়া মুজারাবানির ব্যাট থেকে আসে ১৭ রান।
মূলত জিম্বাবুয়ের ইনিংস ধসিয়ে দেন আফগান লেগস্পিনার রশিদ খান। ১৩৭ রানের খরচায় একাই তুলে নিয়েছেন জিম্বাবুয়ের ৭টি উইকেট।
ছোট লক্ষ্য তাড়াতেও আফগানদের স্বস্তি দেননি পেসার মুজারাবানি ও স্পিনার রায়ান বার্ল। দলীয় ৮ রানেই ওপেনার জাভেদ আহমেদিকে বোল্ড করে দেন মুজারাবানি। তবে আরেক ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানকে নিয়ে রহমত শাহর ৮১ রানের জুটিতে দলকে জয়ের ভিত গড়ে দেন রহমত। এ জুটি ভাঙেন বার্ল। ১২ রানের ব্যবধানে ৩টি উইকেট তুলে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেছিল জিম্বাবুয়ে। তবে নাসির জামালকে নিয়ে বাকী কাজটা শেষ করেন হাসমতউল্লাহ শাহিদি।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন রহমত। ৭৬ বলে ৯টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি। ইব্রাহিম খেলেন ২৯ রানের ইনিংস। জিম্বাবুয়ের পক্ষে ২টি উইকেট নেন মুজারাবানি ও বার্ল।
Comments