লকডাউনের বিষয়ে সরকারের নির্দেশনা নেই: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক

সরকারের পক্ষ থেকে লকডাউনের বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। আজ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সভা শেষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। ছবি: সংগৃহীত

সরকারের পক্ষ থেকে লকডাউনের বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। আজ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সভা শেষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘টাইট লকডাউনের বিষয়ে আমাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তবে, আগে যে স্বাস্থ্যবিধিগুলো ছিল, সেগুলো বেশি বেশি করে মানা, সেগুলো প্রচার করা নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে এবং আমাদেরকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘রেস্তোরাঁগুলোতে জনসমাগম কমানোর ব্যাপারে, পরিবহনে জনসমাগম ও ভিড় এড়ানোর জন্য, সবাইকে মাস্ক পরার জন্য, পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে যাতে লোকে ভিড় না করে, আপনারা দেখেছেন গত কিছুদিন কীভাবে চলেছে। আবার আগের মতো সাবধানতা অবলম্বন করার জন্য, মাস্ক পরাটা একদম বাধ্যতামূলক করার জন্য, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সাহায্য নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘আগামী ৮ এপ্রিল থেকে সেকেন্ড ডোজ টিকা দেওয়া হবে, সেটার জন্য নির্দেশনা দেওয়া ছিল। টিকা দেওয়ার সময় কী কী সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়েছে, মুজিব জন্মশতবর্ষের অনুষ্ঠানে যারা আসবেন, বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানরা আসছেন, সেসব অনুষ্ঠানে আমরা কী কী সাবধানতা অবলম্বন করতে পারি, সংক্রমণ এড়ানোর জন্য, সেগুলোর ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। আর, সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে আমাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছ থেকে বেশকিছু প্রস্তাবনা ছিল। রমজান ও ঈদের ছুটি নিয়ে সামনে আবার আলোচনা হবে। কোয়ারেন্টিনের ব্যাপারে এয়ারপোর্টের তৎপরতা বাড়ানোর জন্য কঠোরভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা যেন কোনোভাবেই কোনও শৈথিল্য প্রদর্শন না করি, সে ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘আমাদের সব হাসপাতাল প্রস্তুত আছে। আমরা সব জেলায়, সব সিভিল সার্জনদের সঙ্গে কথা বলেছি, সেখানে বেড এবং আইসিইউ ফাঁকা। ঢাকাতে একটা বড় সমস্যা হচ্ছে, ঢাকায় বাইরে থেকে লোকজন চলে আসছে। কিন্তু, তারা যে শহরের, সে শহরে সব সুবিধা থাকা স্বত্ত্বেও, সেখান থেকে মানুষ চলে আসছে। সে সব এলাকায় আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি থাকা সত্বেও সেখানে কিন্তু ফাঁকা পড়ে আছে।’

‘আমি সবাইকে অনুরোধ করবো যেন, যে যেখানে আছেন, সেখানকার ব্যবস্থায় স্বাস্থ্যসেবা নিন। তাহলে, ভোগান্তি কম হবে। মফস্বলের সব আইসিইউ বেড খালি রেখে সবাই যদি ঢাকা চলে আসে। ঢাকা শহরে তো সব লোককে চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ নেই,’ যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Teesta floods bury arable land in sand, leaving farmers devastated

40 unions across 13 upazilas in Lalmonirhat, Kurigram, Rangpur, Gaibandha, and Nilphamari are part of the Teesta shoal region

1h ago