আগামীকাল শুরু বইমেলা, শেষ যেকোনো দিন

চলছে বইমেলার স্টল তৈরির শেষ সময়ের কাজ। ছবি: স্টার

করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে ২০২১ সালে অমর একুশে বইমেলার দীর্ঘকালের নিয়ম বাঁধাগ্রস্ত হয়েছে। প্রকাশক ও লেখকদের আগ্রহ বিবেচনায় সরকার ও বাংলা একাডেমি যৌথভাবে বইমেলা আয়োজনের ঘোষণা দেয়।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে বইমেলা। তবে কত দিন মেলা চলবে, তা এখনো ঠিক হয়নি।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘১৮ মার্চ থেকে মেলা শুরু হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমাদের সব রকম প্রস্তুতি আছে। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে কতদিন মেলা চলবে তা বলা যাবে। পরিস্থিতি অনুসারে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত এলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

গতকাল বাংলা একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী বৃহস্পতিবার ভার্চ্যুয়ালি বইমেলার উদ্বোধন করবেন এবং জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা ‘আমার দেখা নয়াচীন’ ইংরেজি অনুবাদ গ্রন্থ উন্মোচন করবেন। তবে করোনা সংক্রমণ বাড়লে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে এবং মেলা স্থগিত হতে পারে।’

জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘শারীরিক কারণে সংবাদ সম্মেলনে যেতে পারিনি, শুনেছি। করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে মেলা কতদিন চলবে। এটি যেহেতু রাষ্ট্রীয় বিষয়, তাই ব্যক্তিগত মত দেওয়ার সুযোগ কম।’

মেলা মাঠে গিয়ে দেখা যায়, প্যাভিলিয়ন নির্মাণ ও স্টল সাজানোর কাজ চলছে। মেলাকে কেন্দ্র করে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কারো যেন দম ফেলার ফুরসত নেই।

স্টল তৈরির কারিগররা জানান, দিন-রাত করেও কাজ শেষ হচ্ছে না। তবে চেষ্টা আছে ১৮ তারিখের মধ্যে কাজ শেষ করার।

বাংলা একাডেমি সূত্রে জানা গেছে, আগের চেয়ে দ্বিগুণ জায়গা নিয়ে করা হয়েছে মেলার নকশা। এবারের মেলায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মোট ৫৪০টি প্রতিষ্ঠানকে জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বহুল কাঙ্ক্ষিত বইমেলার আগেই হতাশ প্রকাশকরা। সোহরাওয়ার্দী প্রাঙ্গণে স্টল বিন্যাস নিয়ে তাদের অভিযোগ, প্যাভিলিয়ন সব একসঙ্গে, স্টল আলাদা। যা মানানসই নয় বলে মনে করেন অধিকাংশ প্রকাশক।

মেলার নকশা নিয়ে অংশীজন সমিতির সদস্য ও প্রকাশকদের মতামত নেওয়া হয়নি বলে ওঠা অভিযোগের বিষয় মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলা একাডেমির পরিচালক জালাল আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘মেলার নকশা চূড়ান্ত করার সময় মহাপরিচালক অসুস্থ থাকায় মিটিং করতে পারিনি। কিন্তু সবাইকে যখন জানিয়েছি তখন কেউ অভিযোগ করেনি। স্বাগত জানিয়েছে বিন্যাসকে। আগামীতে বিষয়টি বিবেচনায় রাখব। তবে এবারে মেলার প্রবেশপথ ত্রিমুখী হওয়ায় খুব অসুবিধা হবে না বলে মনে করছি। সব বিষয়ে একটা নতুনত্ব আছে। বাকিটা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে।’

আরও পড়ুন:

ফেব্রুয়ারিতে হচ্ছে না একুশে বইমেলা

১৮ মার্চ থেকে অমর একুশে বইমেলা

একুশে বইমেলা ১৮ মার্চ-১৪ এপ্রিল

Comments

The Daily Star  | English
Global fashion brands are reaping triple-digit profits on Bangladeshi garments

Fast fashion, fat margins: How retailers cash in on low-cost RMG

Global fashion brands are reaping triple-digit profits on Bangladeshi garments, buying at $3 and selling for three to four times more. Yet, they continue to pressure factories to cut prices further.

13h ago