নোয়াখালীতে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় পুলিশের এসআই নিহত, আরেক এসআই আহত
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী জেলা পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিহত ও অপর এক এসআই আহত হয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার মাইজদী-বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা আঞ্চলিক মহাসড়কের রমজান বিবির চেঙ্গারপুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত এসআই মিজানুর রহমান (৩০) ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চরগণেশ গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
আহত এসআই জাহিদুল ইসলাম ফেনী সদর উপজেলার ফরহাদ নগর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। তাকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের পরিবারে বইছে শোকের মাতম।
নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চাকরিতে যোগদানের পর রাজশাহীর সারদায় ট্রেনিং শেষ করে কিছুদিন আগে নোয়াখালী পুলিশ লাইনসে যোগদান করেন তারা। এর মধ্যে মিজানুর রহমানকে সুধারাম মডেল থানায় এবং জাহিদ হাসানকে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় পদায়ন করা হয়। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে নোয়াখালী পুলিশ লাইনস থেকে মোটরসাইকেলযোগে জাহিদ হাসানকে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য দুই বন্ধু যাত্রা করেন। তারা বেগমগঞ্জ যাওয়ার পথে রাত ৮টার দিকে রমজান বিবি এলাকায় পৌঁছালে একটি কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় দুই বন্ধু মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে সড়কের ওপর পড়ে গুরুতর আহত হন। তাদেরকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত ৯টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মিজানুর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন।
নোয়াখালী জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তা (ডিআইও-১) ফজলে রাব্বি বলেন, ‘নিহত মিজানুর রহমান ও তার বন্ধু জাহিদুল ইসলাম ৩৭তম ব্যাচের ক্যাডেট ছিলেন। এদের মধ্যে মিজানুর রহমানকে সুধারাম মডেল থানায় এবং জাহিদুল ইসলামকে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় পদায়ন করা হয়েছিল। কিন্তু চাকরিতে যোগদানের আগেই মারা গেলেন মিজানুর রহমান। আজ বুধবার সকালে মৃত মিজানুর রহমানের মরদেহ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বেলা ২টার দিকে জানাজা শেষে সোনাগাজী উপজেলার পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।’
Comments