কুয়াকাটা সৈকতে বালুর ভাস্কর্যে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস
মুজিববর্ষ, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ প্রাপ্তি ও স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে কুয়াকাটা সৈকতে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস শীর্ষক বালুর ভাস্কর্য প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ বুধবার বালু ভাস্কর্য প্রদর্শনীর উব্দোধন করেন পুলিশের বরিশাল বিভাগীয় ডিআইজি শফিকুল ইসলাম।
এসময় ডিআইজি বলেন, ‘এ ভাস্কর্যে ১৯৫২-এর মহান ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৬-এর ছয় দফা, ১৯৭২-এর নির্বাচন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, বাঙালি জাতির ওপর পাকিস্তানি হানাদারদের বর্বরতা এবং মুক্তিযুদ্ধের বিজয় উল্লাসের চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে বঙ্গবন্ধু ও আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামকে সংক্ষিপ্ত পরিসরে উপস্থাপন করা হয়েছে। যাতে দেশি-বিদেশি পর্যটকরা এর মাধ্যমে আমাদের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারেন।’
এসব ভাস্কর্যের গায়ে লেখা আছে- ‘আমার সোনার বাংলা’, ‘রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি’, ‘মাতৃভাষা বাংলা চাই’ ইত্যাদি।
রাজশাহী ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ছয় শিক্ষার্থী বালুময় সৈকতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এসব ভাস্কর্য নির্মাণ করেছেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থী অনুপম ধরের নেতৃত্বে এই দলের অন্য সদস্যরা হলেন- সানি কুমার দাস, শাশ্বত রায়, আবদুর রহমান বিজয়, প্রীতম রায় ও মারিয়া আক্তার।
অনুপম ধর বলেন, ‘আমরা চারুকলার ছয় শিক্ষার্থী ১০ মার্চ থেকে সৈকতের বালুচরে ভাস্কর্য নির্মাণ করেছি। পর্যটকরা প্রতিদিন ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ৮ ফুট প্রস্থের এ ভাস্কর্য নির্মাণ উপভোগ করেন। বাংলাদেশের মানচিত্রের ঠিক মাঝখানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি।’
মারিয়া আক্তার বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন স্মরণে আমাদের ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় উল্লাস সবই ফুটে উঠেছে এ ভাস্কর্যে। এক কথায় আমাদের ইতিহাস যেন সবার চোখে পড়ে।’
এই ভাস্কর্য প্রদর্শনী চলবে আগামী ২৬ মার্চ পর্যন্ত ।
Comments