নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ বিশেষজ্ঞ বোলার খেলাবে বাংলাদেশ

এখনও অজেয় দ্বীপদেশে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজে বোলিং আক্রমণে কোনো ফাঁক রাখতে চান না অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
mustafizz al-amin rubel
ছবি: ফেসবুক

দেশে বা বিদেশে, যেখানেই খেলা হোক না কেন, শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে বাংলাদেশ সাধারণত ব্যাটিং অর্ডার লম্বা করে থাকে। সাকিব আল হাসান থাকলে কাজটা হয়ে যায় সহজ। কারণ, ব্যাটে-বলে অবদান রাখতে জুড়ি নেই তার। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের সফরের স্কোয়াডে নেই তিনি। তাই একাদশ নির্বাচনে সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক। তবে এখনও অজেয় দ্বীপদেশে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজে বোলিং আক্রমণে কোনো ফাঁক রাখতে চান না অধিনায়ক তামিম ইকবাল।

সাত জন বিশেষজ্ঞ পেসার নিয়ে নিউজিল্যান্ডে উড়ে গেছে বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদ, আল-আমিন হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম ও রুবেল হোসেনের সঙ্গে রয়েছেন পার্ট-টাইম পেসার সৌম্য সরকারও। তাছাড়া, স্পিনার নাসুম আহমেদের সঙ্গে থাকছেন আরও পাঁচ জন স্পিন অলরাউন্ডার। তারা হলেন মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, আফিফ হোসেন ধ্রুব ও শেখ মেহেদী হাসান।

বৃহস্পতিবার ডানেডিন থেকে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রাখঢাক না করেই তামিম বলেছেন, ঘাটতি না রেখে পাঁচ জন বোলার নিয়ে নিউজিল্যান্ডকে মোকাবিলা করবে বাংলাদেশ। তাদের মধ্যে গতিময় বোলার থাকবেন অন্তত তিন জন, ‘টিম কম্বিনেশন আমি যেটা বললাম, আমরা অবশ্যই অন্তত তিন জন পেসার নিয়ে নামব। সঙ্গে অলরাউন্ডার থাকবে। অধিনায়ক হিসেবে আমি অবশ্যই চাই পাঁচ জন বোলার নিয়ে নামতে। কারণ, নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে আপনি যদি চার জন বোলার নিয়ে খেলেন, অনেক সময় এটা কঠিন হতে পারে।’

মাঠের আকৃতি, কন্ডিশন ও উইকেট বিবেচনায় এসেছে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে, ‘এখানে মাঠগুলো একটু ছোট হয়। হাই-স্কোরিং ম্যাচ হয়। আমার কাছে মনে হয়, পাঁচজন বিশেষজ্ঞ বোলার নিয়ে নামা উচিত। আর আমরা সেটাই করতে যাচ্ছি।’

স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। ডানেডিনে ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে আগামী ২০ মার্চ। ২৩ মার্চ দ্বিতীয় ওয়ানডের ভেন্যু ক্রাইস্টচার্চ। ওয়েলিংটনে শেষ ওয়ানডে হবে ২৬ মার্চ। ব্যক্তিগত কারণে বাঁহাতি ওপেনার তামিম ওয়ানডে সিরিজ সিরিজ খেলে দেশে ফিরে আসবেন। এরপর হ্যামিল্টনে ২৮ মার্চ শুরু হবে দুদলের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। 

নিউজিল্যান্ড সফরের জন্য বাংলাদেশ স্কোয়াড: তামিম ইকবাল খান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, লিটন কুমার দাস, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন ধ্রুব, সৌম্য সরকার, নাঈম শেখ, তাসকিন আহমেদ, আল-আমিন হোসেন, শরিফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, রুবেল হোসেন, শেখ মেহেদী হাসান ও নাসুম আহমেদ।

Comments