খাল দখলে জড়িতদের কাউন্সিলরশিপ থাকবে না: মেয়র আতিক
কোনো কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে খাল দখল বা কোনো অপরাধ প্রমাণিত হলে তার কাউন্সিলরশিপ থাকবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘যদি তদন্তে প্রমাণিত হয়, কোনো কাউন্সিলর খাল দখল করেছেন, অবশ্যই সেই কাউন্সিলরের কাউন্সিলরশিপ বাতিল হয়ে যাবে। এমনকি দখলের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পেলেও কাউন্সিলরশিপ থাকবে না।’
আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের স্লুইস গেট এলাকায় খিদিরখালের ওপর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নতুন খনন করা খালের উদ্বোধন শেষে মেয়র এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, ‘গত ১৬ মার্চ উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের এই জায়গায় এসে আমি লক্ষ্য করলাম, স্লুইস গেট এলাকার ডানে ও বামে খিদিরখাল থাকলেও মাঝখানের কানেক্টিভিটি নেই। এটি ভরাট করে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে একটি স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। এরা অত্যন্ত শক্তিশালী। আমি গত মঙ্গলবার স্থানীয় সংসদ সদস্য, ওয়ার্ড কাউন্সিলর, এলাকার জনসাধারণ এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে এটি ভেঙে দিয়েছি। এখানে খালের স্বাভাবিক গতি নষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে, অন্যথায় আমাকে এভাবে উচ্ছেদ অভিযান চালাতে হবে জনগণের সহায়তা নিয়ে।’
রাজউকসহ অন্যান্য সরকারি সংস্থার প্রতি নির্দেশনা দিয়ে মেয়র বলেন, ‘আপনাদের মানসিকতা পরিবর্তন করেন। শুধু প্লট বরাদ্দ দিলে হবে না, ঢাকা শহরে ডাম্পিং ইয়ার্ড নেই। তারা একটার পর একটা প্লট বরাদ্দ দিয়ে দিচ্ছে অথচ কোনো ডাম্পিং ইয়ার্ড নেই। খালের ওপর বরাদ্দ দিচ্ছে, বিষয়টি ভাবতে হবে। খাল উন্মুক্ত রাখতে হবে। খাল ভরাট করলে চলবে না। সরকারি সব সংস্থার কর্মকর্তাদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে কোনো কিছুর অনুমতি দেওয়ার আগে সিএস ম্যাপ, আরএস ম্যাপ দেখুন, মহানগর জরিপ দেখুন তারপর চিন্তাভাবনা করবেন জায়গার বরাদ্দ দেবেন কি না। আপনারা হুট করে দিয়ে দেবেন আর জনগণের ভোগান্তি হবে, এটা অত্যন্ত কষ্টকর। আপনারা সরেজমিনে এসে দেখে তারপর চিন্তাভাবনা করবেন কোথায় প্লট বরাদ্দ দেবেন।’
গত মঙ্গলবার সমন্বিত মশক নিধন অভিযান পরিদর্শনকালে খিদির খাল এলাকায় থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে খালটি খনন করে প্রবাহ ফেরানো হয়। তিন দিন আগেও এই খালের অস্তিত্ব ছিল না। খালের ওপর একটি প্রতিষ্ঠান সেলস অফিস নির্মাণ করে দখল করে রেখেছিল। সেটি গুড়িয়ে দিয়ে নতুন করে খাল খনন করা হয়।
নতুন খননকৃত খাল উদ্বোধনকালে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক, স্থানীয় ৫১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ শরিফুর রহমান, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর জাকিয়া সুলতানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Comments