খসে পড়ছে নির্মাণাধীন পায়রা সেতুর পলেস্তারা, ‘তেমন কোনো সমস্যা নয়’ বলছেন প্রকল্প পরিচালক
পটুয়াখালী-ঢাকা মহাসড়কের লেবুখালী এলাকায় পায়রা নদীর ওপর নির্মাণাধীন পায়রা সেতুর কাজ শেষ না হতেই আকস্মিক পলেস্তারা খসে পড়ার ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, নির্মাণাধীন সেতুটির দক্ষিণ প্রান্তের দুই নম্বর পিলার সংলগ্ন স্থানে সেতুর প্রায় দুই ফুট দৈর্ঘ্য ও দেড় ফুট প্রস্থের পলেস্তারা খসে পড়েছে।
পায়রা সেতু প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আবদুল হালিম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এটা তেমন কোনো সমস্যা না। অতিরিক্ত চাপে এটা হয়ে থাকতে পারে। যারা টেকনিক্যাল বিষয় বোঝেন না, তারাই এটা নিয়ে গুজব রটাচ্ছেন।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খসে পড়া পলেস্তারার ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে যাওয়ায় সবাইকে এই ‘গুজব’ থেকে সতর্ক থাকার আহ্বানও জানান তিনি।
ঢাকা থেকে বরিশাল হয়ে সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটা যেতে এখনো দুটি নদীতে ফেরি পারাপার হতে হয়। এর একটি পদ্মা এবং অপরটি পায়রা।
নদী পারাপারে দীর্ঘ সময় ও যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে নির্মাণাধীন এই পায়রা সেতুটি এ বছরের জুলাই মাসেই যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে।
প্রকল্প পরিচালক আবদুল হালিম বলেন, ‘মূল সেতুর অবকাঠামোর কাজ ৯০ ভাগ শেষ হয়েছে। সংযোগ সড়ক, টোলপ্লাজাসহ আনুষঙ্গিক কাজও এগিয়ে চলছে। করোনা মহামারির কারণেই সেতুর নির্মাণকাজে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে।’
তিনি জানান, এই সেতু তৈরিতে নদীর মাঝখানে মাত্র একটি পিলার ব্যবহার করা হয়েছে। এতে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ঠিক থাকবে। এটি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে এক হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা।
এই সেতু তৈরিতে দেশের সবচেয়ে বড় দুই শ মিটার দৈর্ঘ্যের স্প্যান ব্যবহার করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পানির স্বাভাবিক স্তর থেকে সেতুটি ১৮ দশমিক ৩০ মিটার উঁচু এবং সেতুর বাতিগুলো জ্বলবে সৌরবিদ্যুতের সাহায্যে।’
২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পায়রা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লংজিয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ কনস্ট্রাকশন এটি নির্মাণে কাজ করছে।
এই সেতু পায়রা বন্দরকেও সংযুক্ত করবে। এর নির্মাণকাজ শেষ হলে পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটার সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ যেমন সহজ হবে, তেমনি বাড়বে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধাও।
Comments