ভারি বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যায় অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূল প্লাবিত
অস্ট্রেলিয়ায় ভারি বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যায় দেশটির পূর্ব উপকূল প্লাবিত হয়েছে। রাস্তায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে এবং অনেক এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
আজ শনিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
দেশটির বৃহত্তম শহর সিডনির বাসিন্দাদের বাড়িতে থাকার অনুরোধ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কারণ, একটি প্রধান বাঁধ উপচে পশ্চিম শহরতলীতে ক্ষুদ্র টর্নেডো আঘাত করেছে।
নিউ সাউথ ওয়েলস (এনএসডাব্লিউ) রাজ্যের অধিকাংশ উপকূলে ইতোমধ্যে মার্চের বৃষ্টিপাতের রেকর্ড ভেঙে গেছে এবং কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিন ধরে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। অস্ট্রেলিয়ার ২৫ মিলিয়ন মানুষের প্রায় এক তৃতীয়াংশ এই এলাকায় থাকে।
নিউ সাউথ ওয়েলস’র প্রধান গ্ল্যাডিস বারজিকলিয়ান টেলিভিশন সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমি রাজ্যের সব নাগরিককে আবারও বলছি- চলতি সপ্তাহ আমাদের জন্য সহজ সপ্তাহ হতে যাচ্ছে না। আগামী বৃহস্পতিবার বা শুক্রবার পর্যন্ত বৃষ্টি থামবে না।’
কর্মকর্তারা শনিবার বিকেল পর্যন্ত প্রায় ১৫টি এলাকার নয়টি খালি করার আদেশ জারি করেছে।
টেলিভিশন ফুটেজে দেখা গেছে, ক্রমবর্ধমানভাবে ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে, কোথাও জানালা পর্যন্ত পানি উঠে গেছে, রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, পানিতে পুরো বাড়ি ভেসে যাচ্ছে। তবে, স্থানীয় প্রচার মাধ্যমের সংবাদে জানা গেছে, ওই বাড়ির মালিক বাড়িটি খালি করতে সক্ষম হয়েছে।
সিডনির প্রধান পানি সরবরাহ ওয়ারাগাম্বা বাঁধ শনিবার বিকেলে উপচে পড়তে শুরু করে। কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন, এই উপচে পড়া স্রোত দ্রুত নদীতে মিশে যাবে। ফলে, আকস্মিক বন্যা হতে পারে।
জরুরি সেবা সংস্থাগুলো জানায়, শহরের পশ্চিমে একটি শহরতলীতে মিনি টর্নেডো আঘাত করে। এতে ৩০টিরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, গাছ ভেঙে পড়ে এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
জনগণকে বাড়িতে থাকতে এবং কোনো অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়িয়ে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে।
নিউ সাউথ ওয়েলস জরুরি সেবামন্ত্রী ডেভিড এলিয়ট বলেছেন, গত দুই দিনে প্রায় চার হাজার সাহায্যের আহ্বানে সাড়া দেওয়া হয়েছে।
এলিয়ট বলেন, ‘বন্যার পানির মধ্য দিয়ে হাঁটবেন না বা গাড়ি চালাবেন না, রাস্তার ওপর দিয়ে গাড়ি চালাবেন না।’
Comments