শরীয়তপুরে সাবেক পিপি ও তার ভাইয়ের হত্যা মামলায় ৬ জনের ফাঁসি
দীর্ঘ ১৯ বছর পর শরীয়তপুর জেলা জজ আদালতের সাবেক পিপি হাবীবুর রহমান ও তার ভাই মনির হোসেন হত্যা মামলায় ছয় জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন শহীদ তালুকদার, শাহিন কোতোয়াল, শহীদ কোতোয়াল, শফি কোতোয়াল, সলেমান সরদার ও মজিবর রহমান তালুকদার। তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী আমিনুল ইসলাম হিরন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আজ রোববার বেলা ২টায় মামলার ৩৯ আসামির উপস্থিতিতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. শওকত হোসাইন রায় ঘোষণা করেন।
ছয় জনের ফাঁসি ছাড়াও সরোয়ার হোসেন বাবুল তালুকদার, বাবুল খান, ডাবলু তালুকদার, আবদুর রশিদ ওরফে টোকাই রশিদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এই মামলার অন্য তিন আসামি মন্টু তালুকদার, আসলাম সরদার ও জাকির হোসেন মজনু দুই বছরের কারাদণ্ডে দন্ডিত হয়েছিল।
রোববার আদালত এ মামলায় ৩৯ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছে।
এ ছাড়া, পলাতক আসামি শহীদ তালুকদার, শাহিন কোতোয়াল, সরোয়ার হোসেন বাবুল তালুকদার, টোকাই রশিদ ও জাকির হোসেন মজনুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
পলাতকদের শাস্তি তাদের গ্রেপ্তার বা আত্মসমর্পণের দিন থেকেই কার্যকর হবে বলে রায়ে জানানো হয়েছে।
আদালত এই মামলার ৪৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জনের বক্তব্য রেকর্ড করেছেন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের তর্ক-বিতর্ক শেষ হয়।
রোববার সকাল থেকে রায় ঘোষণার সময় আদালত চত্বরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট আদালতের প্রবেশপথে একটি আর্চওয়ে মেটাল ডিটেক্টর স্থাপন করা হয়।
২০০১ সালে ৫ অক্টোবর ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণার সময় শরীয়তপুর জেলা আদালতের পিপি ও জেলা শাখা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান এবং তার ভাই মনির হোসেনকে সদর উপজেলায় নিজ বাড়িতে গুলি করে হত্যা করা হয়।
সে বছর ৬ অক্টোবর হাবিবুর রহমানের স্ত্রী জিন্নাত রহমান বাদী হয়ে ওই দুই হত্যার ঘটনায় পালং থানায় একটি মামলা করেন।
Comments