জুড়ী সীমান্তে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ ফেরত চেয়ে বিক্ষোভ

মৌলভীবাজারের জুড়ী সীমান্তে গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ ফেরত চেয়ে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয়রা।
আজ সোমবার জুড়ি উপজেলা ফুলতলা বিজিবি ক্যাম্পের সামনে শতাধিক মানুষ এই বিক্ষোভে অংশ নেন বলে জানান জুড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্তী।
তিনি বলেন, ‘নিহত বাপ্পার মরদেহ ফেরত দেওয়ার দাবিতে আজ সকাল থেকেই বিজিবি ফুলতলা ক্যাম্পে জড়ো হতে থাকেন অনেক মানুষ। পরে তারা সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।’
গত ২০ মার্চ ভোরে জুড়ী সীমান্তে গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত হওয়ার বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেন জেলার ফুলতলা ইউনিয়নের সদস্য মইনুদ্দিন।
সেসময় তিনি বলেন, ‘শনিবার ভোর ৪টার দিকে ফুলতলা ইউনিয়নের পূর্ব বটুলী এলাকায় কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে ওই যুবকের মরদেহ পাওয়া যায়।’
মইনুদ্দিন জানান, নিহত যুবকের নাম বাপ্পা মিয়া (৪০)। তিনি ফুলতলা ইউনিয়নের আবদুর রউফের ছেলে।
তিনি আরও বলেন, ‘বাপ্পা মিয়া গরু ব্যবসায়ী ছিলেন। সীমান্তের ওপারে বিএসএফের গুলিতে তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে ঘটনাস্থলে তার মরদেহ ফেলে রাখা হয়। বিষয়টি আমি পুলিশ ও বিজিবিকে জানিয়েছি।’
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জুড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সঞ্জয় চক্রবর্তী ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে বিজিবি বিস্তারিত বলতে পারবে।’
এ বিষয়ে বিজিবির-৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহ আলম সিদ্দিকী ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ঘটনাটি যেহেতু সীমান্তের ওপারে ঘটেছে, সেহেতু বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের আগ পর্যন্ত কিছু বলা সম্ভব না। আমরা পতাকা বৈঠক আয়োজনের চেষ্টা করছি।’
আরও পড়ুন:
জুড়ী সীমান্তে বাংলাদেশি যুবক নিহত, বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের চেষ্টা
Comments