সেঞ্চুরির পথে শাহাদাত, বরিশালকে ধসিয়ে নায়ক রনি-রকিবুল
ফরহাদ রেজা, শফিকুল ইসলামের তোপে রাজশাহীর বিপক্ষে শুরুতে বিপর্যয়ে পড়েছিল চট্টগ্রাম। সেখান থেকে দলকে টেনে তুলেন ইয়াসির আলি আর শাহাদাত হোসেন দিপু। ফিফটির পর ইয়াসির ফিরলেও সেঞ্চুরির পথে আছেন শাহাদাত। দ্বিতীয় স্তরের আরেক ম্যাচে আবু হায়দার রনির পেস আর রাকিবুল হাসানের স্পিনে বরিশাল বিভাগকে আড়াইশর আগে গুটিয়ে দিয়েছে ঢাকা মেট্রো।
সোমবার রাজশাহীতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ৭ উইকেটে ২৫৬ রান তুলেছে চট্টগ্রাম। ৮৮ রান নিয়ে ব্যাট করছেন শাহাদাত। ৬৩ করে আউট হয়েছেন ইয়াসির। আটে নেমে মেহেদী হাসান রানা করেছেন ৫৫ রান।
বরিশালকে নিজেদের মাঠে ২৪১ রানে গুটিয়ে দিনশেষে ১ উইকেটে ২৯ রান করেছে ঢাকা মেট্রো। রনি ৩৪ রানে ৩ ও রাকিবুল ৭৬ রানে পেয়েছেন ৩ উইকেট।
রাজশাহীতে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে সকালের আর্দ্রতায় বিপদে পড়ে চট্টগ্রাম। প্রথম শ্রেণীতে অভিষিক্ত পারভেজ হোসেন ইমন ফিরে যান মাত্র ৬ রান করে। পিনাক ঘোষ, মাহমুদুল হাসান জয় আর অধিনায়ক মুমিনুল হকও ফিরে যান দ্রুত। মাত্র ৫২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বেহাল অবস্থায় পড়ে সফরকারীরা।
এরপরই জুটি বাঁধেন ইয়াসির-শাহাদাত। পঞ্চম উইকেটে দুজনে আনেন ৮৮ রান। ৬৩ করা ইয়াসিরকে তুলে নেন তাইজুল ইসলাম। ইরফান শুক্কুর নেমেই আউট হয়ে যান। তবে মেহেদী রানা যোগ সঙ্গ দিয়ে আরেক জুটি গড়েন শাহাদাতের সঙ্গে। সপ্তম উইকেটের ১১৫ রানের তাদের এই জুটিতেই ম্যাচে ফিরে চট্টগ্রাম। শেষ বিকেলে ৫৫ করা রানাকে তুলে নেন আসাদুজ্জামান পায়েল। তবে শাহাদাত আর আউট হননি। অপেক্ষায় আছেন প্রথম শ্রেণীতে নিজের প্রথম সেঞ্চুরির।
বরিশাল নিজেদের মাঠে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি। ৫১ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। এরপর বেশ কয়েকজন ব্যাটসম্যান থিতু হয়েও সুবিধা করতে পারেননি। মোহাম্মদ আশরাফুল করেন ৪৮, সৈকত আলি ৩৬, সোহাগ গাজী ৪৫ ও কিপার ব্যাটসম্যান আবু সায়েম করেন ৪৬ রান। দল আটকে যায় আইড়াশর আগে।
শেষ সেশনে ব্যাট করতে গিয়ে আনিসুল ইসলাম ইমনকে হারিয়ে ২৯ তুলেছে ঢাকা মেট্রো। জাহিদুজ্জমান ৭ আর শামসুর রহমান ১২ রান নিয়ে খেলছেন।
Comments