পায়রা সেতুর টোল নির্ধারণ

ঢাকা-পটুয়াখালী মহাসড়কের লেবুখালী এলাকায় পায়রা নদীর ওপর নির্মাণাধীন পায়রা সেতুর টোল নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার পায়রা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী আব্দুল হালিম দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচলের জন্য টোল নির্ধারণ করে গত ২১ মার্চ একটি গেজেট প্রকাশ করেছে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের (টোল অধিশাখা) উপসচিব ফাহমিদা হক খানের সই করা ওই গেজেটে পায়রা সেতুতে ট্রেইলারের টোল ৯৪০ টাকা, হেভি ট্রাক ৭৫০ টাকা, মিডিয়াম ট্রাক ৩৭৫ টাকা, বড় বাস ৩৪০ টাকা, মিনি ট্রাক ২৮০ টাকা, কৃষিকাজে ব্যবহৃত যান ২২৫ টাকা, মিনিবাস-কোস্টার ১৯০ টাকা, মাইক্রোবাস ১৫০ টাকা, ফোর হুইল চালিত যানবাহন ১৫০ টাকা, সিডান কার ৯৫ টাকা, ৩-৪ চাকার মোটরাইজড যান ৪০ টাকা, মোটরসাইকেল ২০ টাকা, রিকশা, ভ্যান, সাইকেল, ঠেলাগাড়ি ১০ টাকা টোল নির্ধারণ করা হলো বলে জানানো হয়েছে।
সেতুর প্রকল্প পরিচালক আবদুল হালিম জানান, মূল সেতুর অবকাঠামোর কাজ ৯০ ভাগ শেষ হয়েছে এবং চলতি বছরের জুলাই মাসে এটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে। এখন সেতুর সংযোগ সড়ক, টোলপ্লাজাসহ আনুষঙ্গিক কাজও এগিয়ে চলছে।
তিনি বলেন, ‘চার লেনের সেতুটি নির্মিত হচ্ছে এক্সট্রাডোজড কেবল স্টেইড প্রযুক্তিতে। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ওপর শাহ আমানত সেতুও এই প্রযুক্তিতে নির্মিত। ১ দশমিক ৪৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ১৯ দশমিক ৭৬ মিটার প্রস্থের সেতুটি কেবল দিয়ে দুই পাশে সংযুক্ত থাকবে। উভয় পাড়ে সাত কিলোমিটারজুড়ে নির্মাণ করা হবে সংযোগ সড়ক। এটি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১৪৪৬ কোটি টাকা।’
সেতুটিতে দেশের সবচেয়ে বড় ২০০ মিটার দৈর্ঘের স্প্যান ব্যবহার করা হচ্ছে। পদ্মা সেতুতে ব্যবহার করা হয়েছে ১৫০ মিটার স্প্যান। বিষয়টি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, পানির স্বাভাবিক স্তর থেকে সেতুটি নদীর ১৮ দশমিক ৩০ মিটার উঁচু আর বাতি জ্বলবে সৌর বিদ্যুতের সাহায্যে। ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পায়রা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লংজিয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ কনস্ট্রাকশন সেতুটি নির্মাণে কাজ করছে।
পটুয়াখালী শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, পদ্মা ও পায়রা সেতু চালু হলে পটুয়াখালীসহ দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। পায়রা সেতুর নির্মাণ সমাপ্তির মধ্য দিয়ে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার সাথে সারা দেশের নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ একধাপ এগিয়ে যাবে।
Comments