সেঞ্চুরির পথে নাসির, ফলোঅনের শঙ্কায় সিলেট
দলীয় ৪১ রানেই নেই টপ অর্ডারের সেরা পাঁচ ব্যাটসম্যান। তাতে ফলোঅনে পড়ার বড় শঙ্কায় রংপুর বিভাগ। সেখান থেকে দলকে টেনে লড়াইয়ের পথ দেখালেন নাসির হোসেন। একাই বুক চিতিয়ে লড়াই করে ঢাকা বিভাগকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামানোর সম্ভাবনা জোরালো করেছেন। নিজেও এগিয়ে যাচ্ছেন সেঞ্চুরির পথে। আর ৭ রান পেলেই তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছবেন এ ব্যাটসম্যান।
সাভারের বিকেএসপিতে প্রথম টায়ারের এ ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে ঢাকা বিভাগের চেয়ে ১৭১ রানে পিছিয়ে আছে রংপুর বিভাগ। প্রথম ইনিংসে ৩৬৫ রান করে অলআউট হয়েছে ঢাকা। আর নিজেদের প্রথম ইনিংসের ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৯৪ রান করে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে রংপুর।
ব্যাটিংয়ে নেমে এদিন শুরুতেই নাজমুল ইসলাম অপুর ঘূর্ণির মায়াজালে পড়ে রংপুর। দুই ওপেনারকেই ফেরান এ বাঁহাতি স্পিনার। এরপর সুমন খানের তোপে ৪১ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বড় চাপে পড়ে দলটি। এরপর মাহমুদুল হাসানকে নিয়ে দলের হাল ধরেন নাসির। ৮৪ রানের জুটি গড়ে সে চাপ সামলে নেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। এ জুটি ভাঙতে দ্রুত আরও একটি উইকেট হারিয়ে ফের চাপে পড়ে তারা।
তবে অষ্টম উইকেটে আলাউদ্দিন বাবুকে নিয়ে আরও একটি জুটি গড়েছেন নাসির। অবিচ্ছিন্ন ৫৮ রানের জুটিতে রংপুরকে ফলোঅন এড়ানোর স্বপ্ন দেখাচ্ছেন এ দুই ব্যাটসম্যান।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯৩ রান করে অপরাজিত রয়েছে নাসির। ১৮৫ বলে ১১টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। এছাড়া মাহমুদুল হাসানের ব্যাট থেকে আসে ২৭ রান। ঢাকার পক্ষে ৬৯ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নিয়েছেন অপু। ২টি উইকেট পেয়েছেন সুমন খান।
এর আগে প্রথম দিনের ৮ উইকেটে ২৯৭ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা ঢাকা বিভাগ এদিন শেষ দুই উইকেট হারিয়ে ৬৮ রান যোগ করে। মূলত সুমন খানের সঙ্গে আরাফাত সানি জুনিয়রের ৬৩ রানের দারুণ জুটিতে এ রান সংগ্রহ করতে পারে দলটি। ৮৪ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন সানি। সুমনের ব্যাট থেকে মূল্যবান ২৪ রান। রংপুরের পক্ষে ৪৬ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট নেন বাবু। ২টি উইকেট পান মাহমুদুল।
প্রথম টায়ারের অপর ম্যাচে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে সিলেট বিভাগ। ১৩০ রানেই ৮ উইকেট হারিয়ে ফলোঅনে পড়ার বড় শঙ্কায় রয়েছে দলটি। এর আগে খুলনা বিভাগ তাদের প্রথম ইনিংসে ৩৭৫ রানের অলআউট হয়। ফলে দ্বিতীয় দিন শেষে ২৪৫ রানে এগিয়ে আছে তারা। ফলোঅন এড়াতে এখনও ৯৬ রান করতে হবে সিলেটকে। হাতে রয়েছে মাত্র ২টি উইকেট।
মূলত মাসুম খানের তোপে পড়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে সিলেট। তার সঙ্গে দুই বাঁহাতি স্পিনার মিনহাজুর রহমান ও মইনুল ইসলামও দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন। ফলে গড়ে ওঠেনি বলার মতো কোনো জুটি।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন ইমতিয়াজ হোসেন তান্না। তবে এনামুল হক জুনিয়র ৩০ রান করে অপরজিত রয়েছেন। তার সঙ্গে আরেক অপরজিত ব্যাটসম্যান সৈয়দ খালেদ আহমেদ উইকেটে আছেন ২ রান নিয়ে। খুলনার পক্ষে ৩২ রানের খরচায় ৪টি উইকেট নিয়েছেন মাসুম খান। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মিনহাজুর ও মইনুল।
Comments