কিরগিজস্তান অ-২৩ দলকে হারিয়ে শুরু বাংলাদেশের
প্রতিপক্ষ প্রায় অচেনা। কিন্তু তারপরও তাদের বিপক্ষে টেকনিক্যালি নিজেদের এগিয়ে রেখেছিলেন বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে। আর মাঠেও তার প্রতিফলন দেখা গেল। কিরগিজস্তান অনূর্ধ্ব-২৩ দলের বিপক্ষে দারুণ জয়ে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট শুরু করে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার নেপালের কাঠমাণ্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে ১-০ গোলের ব্যবধানে জয় পেয়েছে জেমি ডের শিষ্যরা।
জুনিয়র পর্যায়ে এবারই প্রথম কিরগিজস্তানের বিপক্ষে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। এর আগে সিনিয়র পর্যায়ের লড়াইয়ে অবশ্য বাংলাদেশের স্মৃতিটা খুব একটা সুখকর ছিল না। আগের চার লড়াইয়ের চারটিতেই জিতেছিল কিরগিজরা। তবে অনূর্ধ্ব-২৩ দলটিকে হারিয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে বাংলাদেশ।
তবে এদিন জালের নাগাল পাননি কোনো বাংলাদেশি ফুটবলার। একমাত্র যে গোলটি এসেছে তা কিরগিজদের পা থেকেই। অর্থাৎ কিরগিজস্তান অনূর্ধ্ব-২৩ দলের আত্মঘাতী গোলে জয় মিলে বাংলাদেশের। ৩০তম মিনিটে ডান প্রান্ত দিয়ে সাদউদ্দিন ক্রস ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই ঠেলে দেন কুমারবাজ বাইয়ামান।
তবে পরের মিনিটেই সমতায় ফিরতে পারতো কিরগিজস্তান। তবে সে যাত্রা দলকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। তাকে একা পেয়ে গিয়েছিলেন তাপায়েফ তামির। তার ভলি অসাধারণ দক্ষতায় জিকো ফিরিয়ে দিলে লিড ধরে রাখে বাংলাদেশ।
অবশ্য ম্যাচের ১৭তম মিনিটে একটি পেনাল্টি পেতে পারতো তারা। সোহেল রানার শট ডি-বক্সে প্রতিপক্ষ এক খেলোয়াড়ের হাতে লাগলেও তা এড়িয়ে যান রেফারি।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য গোল শোধ করতে বেশ চাপ সৃষ্টি করে কিরগিজরা। তবে ৫৩তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। সোহেলের শট ঠেকিয়ে দেন এক ডিফেন্ডার। ৫৫তম মিনিটে মাঠে নামেন জামাল। একই সঙ্গে রাকিব হোসেন ও রিয়াদুল ইসলামকেও নামান বাংলাদেশ কোচ। পরে মানিক হোসেন মোল্লাকেও নামান। চার পরিবর্তনে রক্ষণ আরও দৃঢ় করে বাংলাদেশ।
তবে গোল শোধে মরিয়া হয়েই খেলতে থাকে কিরগিজস্তান। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে গোল প্রায় পেয়ে যাচ্ছিল দলটি। অবিশ্বাস্য এক মিস করেন তাসিয়েভ কামোলিদিন। একবারে ফাঁকায় পেয়েও লক্ষ্য হেড নিতে পারেননি তিনি। ফলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে জামালরা।
আগামী শনিবার নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
Comments