এবার লালন মাজারে দোল উৎসব হবে না

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এ বছর কুষ্টিয়ায় লালনের মাজারে দোল উৎসব হচ্ছে না। আজ বুধবার সন্ধ্যায় লালন একাডেমির সভাপতি ও কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সাইদুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এ বছর কুষ্টিয়ায় লালনের মাজারে দোল উৎসব হচ্ছে না। আজ বুধবার সন্ধ্যায় লালন একাডেমির সভাপতি ও কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সাইদুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।

করোনার কারণে গত বছর অক্টোবরে লালন ফকিরের মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানও বাতিল করেছিল লালন একাডেমি।

আগামী ২৮ মার্চ থেকে দোল উৎসব শুরু হওয়ার কথা ছিল। সাধারণত তিন দিন ধরে চলে এই উৎসব।

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘কুষ্টিয়ায় করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। এ পর্যন্ত ৯১ জন মারা গেছেন। জেলাতে চার হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত। এ পরিস্থিতিতে বড় ধরনের জমায়েত ঝুঁকিপূর্ণ।’

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ করেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

লালন একাডেমি সূত্রে জানা যায়, বাউল গুরু লালন ফকিরের সময় থেকেই দোল উৎসবের চল। প্রতি বছর চৈত্র মাসের পূর্ণিমায় উৎসব পালন করা হয়।

বাউল-ফকিররা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উৎসব বাতিলের সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও ধর্মীয় রেওয়াজ হিসেবে সীমিত পরিসরে হলেও সাধুসঙ্গ করার দাবি জানিয়েছেন। লালন একাডেমির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সেলিম হক জানান, বাউলরা তার সঙ্গে দেখা করে এ দাবি করেছেন।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান অধাপক ড. মাহবুবুল আরফিন বলেন, ‘ধর্মীয় রীতি পালনে ফকিরদের দাবি যৌক্তিক। অন্য সব ধর্মীয় বা উপাসনার কার্যক্রম চলছে। সেই হিসেবে নির্দিষ্ট ফকিরদের দিয়ে দোল পূর্ণিমার ২০০ বছরের রীতি পালন করা যেতেই পারে। কিন্তু দোলপূর্ণিমা উৎসবের খবর জানাজানি হলে বাউল-ফকিরদের আটকানো যাবে না। এ কারণে সম্ভবত প্রশাসন ঝুঁকি নিতে চাইছে না।’

গত বছর করোনা মহামারির শুরু থেকেই ফকির লালন সাঁইয়ের আখড়া বন্ধ ছিল। ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর সীমিত পরিসরে এটি খুলে দেয়া হয়। এখন বাউল-ফকির, লালনের ভক্ত ও দর্শনার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রবেশ করতে পারেন। তবে সন্ধ্যা ৬টায় বন্ধ করে দেওয়া হয় আখড়াবাড়ির দরজা।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago