আগরতলা মামলার আসামি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মদকে ফরিদপুর নাগরিক মঞ্চের সম্মাননা

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামি নূর মোহাম্মদকে (৮৭) অভিবন্দনা জানিয়েছে ফরিদপুর নাগরিক মঞ্চ। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা দিলো নাগরিক মঞ্চ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মদের হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। ছবি: সংগৃহীত

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামি নূর মোহাম্মদকে (৮৭) অভিবন্দনা জানিয়েছে ফরিদপুর নাগরিক মঞ্চ। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা দিলো নাগরিক মঞ্চ।

আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় ফরিদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে ‘অভিবন্দনা’ পাঠ করেন নাগরিক মঞ্চের সদস্য বিপ্লব বালা। পরে বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মদকে উত্তরীয় পড়িয়ে দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান ও নূর মোহাম্মদের সহযোদ্ধা বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আশরাফউজ্জামান মুরাদ।

সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন ফরিদপুর নাগরিক মঞ্চের সভাপতি আওয়াদ হোসেন ও ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী।

এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘পাকিস্তানি নৌবাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় বঞ্চনার কথা জানতে পেরে দেশের মুক্তির কথা ভেবেছি। মুক্তিযুদ্ধে গ্রামের গরিব, সহজ, সরল খেটে খাওয়া মানুষকে নিয়ে গড়া মুক্তিবাহিনীর একটি অংশের নেতৃত্ব দিয়েছি। এ যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। মুক্তিযুদ্ধে অনেক

কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। যুদ্ধে যে সব সহযোদ্ধারা শহীদ হয়েছেন তাদের মরদেহ সহযোদ্ধাদের দেখতে পর্যন্ত দেইনি পাছে তাদের মনোবল ভেঙে না যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘সম্মান বা সম্মাননা পাওয়ার জন্য যুদ্ধ করিনি। যুদ্ধ করেছি নিজের দেশের মুক্তির জন্য, স্বাধীনতার জন্য, পতাকার জন্য, একটি মানচিত্রের জন্য। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করেছি।’

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শামসুল হক বলেন, ‘নূর মোহাম্মদের সব কাজ এক একটি ইতিহাস। প্রথমে মনে হতো তিনি উন্মাদের মত কী সব করে যাচ্ছেন। পরে উপলব্ধি করে বুঝতে পেরেছি তিনি যা করেছেন সেটাই সঠিক। নূর মোহাম্মদের একক চেষ্টায় ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ইমাম উদ্দীন আহম্মাদের নামে ইমাম উদ্দিন স্কয়ার নামকরণ, গণ কবর চিহ্নিত করে সেখানে স্তম্ভ নির্মাণ এবং নিজের বাড়িতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মিনি জাদুঘর নির্মাণ করা প্রভৃতি কর্মযজ্ঞ পরিচালিত হয়েছে।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

10h ago