আগামীর চিন্তায় দল নিয়ে গভীরভাবে কাজ করছেন নির্বাচকরা
তিন বছর পর কি হবে? কিংবা চার-পাঁচ বছর পর যদি দেখা যায় আর খেলায় নেই সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবালরা। তাদের অনুপস্থিতি যেন সংকটের কারণ না হয়, সেই লক্ষ্য কাজ করছেন জাতীয় নির্বাচকরা।
নির্বাচকদের মধ্যে সবচেয়ে নতুন ও তরুণ আব্দুর রাজ্জাক জানালেন, আগামীর চিন্তা মাথায় রেখেই সাজিয়েছেন তাদের কার্যক্রম। শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সদ্য ক্রিকেট ছেড়ে নির্বাচক হওয়া রাজ্জাক জানান তাদের প্রস্তুতির কথা, ‘একেবারে তরুণ একটা দল নিয়ে টেস্ট জেতা সম্ভব নয়। আবার যদি বলেন যে, তরুণ কোন ক্রিকেটার থাকবে না, সব আগের পুরনো ক্রিকেটার দিয়ে খেলান, তাহলে আসলে চেইনটা মেইনটেইন হলো না। তাহলে ৩ বছর পরে কারা খেলবে? যেমন সাকিব, তামিম, মুশফিক, রিয়াদ- এরা যদি বের হয়ে আসে তাহলে ওদের জায়গায় যারা আসবে তাদেরকে এখন থেকেই আস্তে আস্তে শুরু করতে হবে। ’
আর বছর তিনেক পরই অভিজ্ঞ তারকাদের একে একে বিদায় নেওয়ার সম্ভাবনা দেখে এখন থেকেই পরিকল্পনা নির্বাচকদের, ‘ওরা হয়তো কেউ ৪ বছর খেলবে, কেউ ৫ বছর খেলবে, কেউ ৩ বছর খেলবে- একেকজন একেকরকম। ট্রান্সজেকশন পিরিয়ড যেন আমাদের খুব বেশি বিপদের পড়তে না হয় সেজন্য এখন থেকেই টুকটাক কাজ করা শুরু হয়েছে। আমি বলবো না আমি আসার পর এগুলো হচ্ছে, এগুলো অলরেডি চলছে। আমি কেবল যুক্ত হয়েছি এই প্রক্রিয়ায়।’
আগামীর চিন্তা মাথায় থাকলেও শ্রীলঙ্কা সফরে খুব একটা পরীক্ষা নিরীক্ষা না হলেই কিছু অদল-বদলের দিলেন রাজ্জাক, ‘শ্রীলঙ্কা সফরে শুধুমাত্র টেস্ট খেলা হবে তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই কিছু খেলোয়াড় বদল হবে যেটা আপনারা সবাই জানেন। চমকের কথা বলবো না, তবে দল নিয়ে গভীরভাবে কাজ হচ্ছে। এখনই যে দল দিয়ে দেয়া হবে বা দল তৈরি হয়ে গেছে এমন নয়। জাতীয় দল করতে হলে দেখা যায় কয়েকটা খেলোয়াড় নিয়ে আগে বসতে হয়। তো ওইরকম অবস্থানে আছে এখনো। পুরোপুরি সব মিটিং এখনো হয়নি। প্রেসিডেন্ট সাহেব বসবেন, আমাদের অপারেশন্সের চেয়ারম্যান বসবেন। তারপর আমরা নির্বাচকরা বসবো। এরপর আসলে দল দেয়া হবে।’
Comments