শ্যামনগরের ঈশ্বরীপুর যশোরেশ্বরী মন্দিরে মোদি এলেন, পূজা দিলেন, চলে গেলেন
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুরে পূজা দিয়েছেন যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরে। মন্দিরের মধ্যে উপস্থিত শতাধিক মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছেন। হেলিকপ্টার অবতরণের পর তার ৩৫ মিনিটের সফরকালে সৃষ্টি হয়েছিল এক আনন্দঘন পরিবেশের।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে হেলিকপ্টারে করে ঈশ্বরীপুরের এ সোবহান মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে নির্মিত হেলিপ্যাডে নামেন। সেখান থেকে গাড়িতে করে যান মন্দিরের সামনে। এরপর প্রবেশ করেন মন্দির চত্বরে।
সেখানে মন্দিরের সেবায়েত পরিবারের কৃষ্ণা চট্টোপাধ্যায় তাকে বরণ করে নেন। কপালে এঁকে দেন চন্দন ফোঁটা। ৩০ জন নারী শঙ্খধ্বনি আর উলুধ্বনি দিয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানান। একই সঙ্গে চলতে থাকে আট জন ঢুলির ঢাক ও ঢোলের বাদ্য। সবমিলিয়ে তৈরি হয় এক অন্যরকম পরিবেশ। পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কুশল বিনিময়ের পর সেবায়েত পরিবারের অন্যতম সদস্য প্রখ্যাত অভিনেতা জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় মন্দিরের পূজা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান তাকে। তিনি সাদরে তা গ্রহণ করে মন্দিরে পূজায় বসেন দেবীর সামনে।
মন্দিরের পুরোহিত দিলীপ মুখার্জী জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বসে প্রথমে দেবীর মাথায় পড়িয়ে দেন সোনার মুকুট। পরে ফুলের মালা। তারপর তিনি (পুরোহিত) পূজার মন্ত্র পড়তে থাকেন। একই সঙ্গে মন্ত্র উচ্চারণ করেন নরেন্দ্র মোদিও। পূজা শেষে মোদি প্রথমে মন্দিরের ভেতরে দেবীর চারিদিকে প্রদক্ষিণ করেন। পরে বাইরে থেকে মন্দির ভবন আর একবার প্রদক্ষিণ করেন।
তিনি আরও বলেন, পরে অভ্যর্থনা দেওয়া ৩০ জন নারী ও আটজন ঢুলির সঙ্গে তিনি কৌশল বিনিময়ের পর তাদের সঙ্গে ছবি তোলেন। পরে তিনি আগত অতিথিদের সঙ্গে কৌশল বিনিময়ের পর সাড়ে ১০টায় মন্দির থেকে প্রস্থান করেন।
সেবায়েত পরিবারের সদস্য জ্যোতি চট্টোপাধ্যায় বলেন, নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের এই সুন্দরবনঘেঁষা গ্রাম ঈশ্বরীপুরে এসে ইতিহাস সৃষ্টি করলেন। তাকে নান্দনিক অভ্যর্থনা জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাদের পরিবার সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন। এবং ব্যবস্থাপনায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, প্রায় ১৫শ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের জন্য মোতায়েন ছিলেন। নরেন্দ্র মোদির নিরাপত্তা বাহিনী ও বাংলাদেশের এসএসএফ চমৎকার সমন্বয়ে নিরাপত্তা বলয় ছিল সুদৃঢ়।
আরও পড়ুন-
Comments