হাটহাজারীতে জানাজা হবে না, পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে গতকাল হেফাজত-পুলিশ সংঘর্ষে নিহতের চার জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ সকাল থেকে হাটহাজারী থানায় হেফাজত নেতাদের সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের দফায়-দফায় বৈঠকের পর বিকেলে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
CTG Final.jpg
হাটহাজারীতে পুলিশের সঙ্গে হেফাজতের কর্মীদের সংঘর্ষ। ছবি: স্টার

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে গতকাল হেফাজত-পুলিশ সংঘর্ষে নিহতের চার জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ সকাল থেকে হাটহাজারী থানায় হেফাজত নেতাদের সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের দফায়-দফায় বৈঠকের পর বিকেলে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বৈঠক শেষে হেফাজতের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মির ইদ্রিস দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, হাটহাজারী মাদ্রাসায় কোনো জানাজা হবে না। মরদেহ পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। রাস্তার অবরোধ তুলে নেওয়া হবে।

শুরু থেকেই প্রশাসন চাইছিল মরদেহের ময়না তদন্ত করে তাদের পরিবারের হাতে হস্তান্তর করতে। হেফাজতের দাবি ছিল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মরদেহ মাদ্রাসায় নিয়ে যওয়ার।

বৈঠকে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং প্রশাসনের পক্ষে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার রাশিদুল হক ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।

সকাল ১০টার বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব নাসিরুদ্দিন মনির। তিনি তখন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছিলেন, ‘আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। শিক্ষার্থীরা চাইছে মরদেহ মাদ্রাসায় নিয়ে যেতে।’

কিন্তু পুলিশ মরদেহ দিতে চাইছে না বলে জানান তিনি।

এরপর, দুপুর ১টায় এবং বিকেল পৌনে ৩টার দিকে দুই দফা বৈঠক হয়। এই দুই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির আশরাফ আলী নিজামপুরী ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মির ইদ্রিস।

সর্বশেষ বৈঠক শেষে মির ইদ্রিস জানান, নিহতদের মরদেহ আজ রাতেই পুলিশ পাহারায় যার যার বাড়িতে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

আরও পড়ুন: 

হাটহাজারীতে দফায়-দফায় বৈঠক, মরদেহ নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি

হাটহাজারীতে পুলিশ-হেফাজত সংঘর্ষ, নিহত ৪

Comments

The Daily Star  | English

Ex-public administration minister Farhad arrested

Former Public Administration minister Farhad Hossain was arrested from Dhaka's Eskaton area

3h ago