কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর
![](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/kishoreganj_hortal_photo-3.jpg?itok=mHcR-p1J×tamp=1616935750)
কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা। আজ বেলা সাড়ে ১২টার দিকে হেফাজতের কয়েক শ নেতা-কর্মী লাঠি নিয়ে শহরের স্টেশন রোডে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে সাইন বোর্ড ও ভিতরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।
প্রায় ১৫-২০ মিনিট ধরে ভাঙচুর চলার পর আওয়ামী লীগের কিছু নেতা-কর্মী কার্যালয়ে এসে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করে। এছাড়া জেলা শহরের স্টেশন রোডের গৌরাঙ্গবাজার, শহীদি মসজিদ প্রাঙ্গণ, পুরানথানা, একরামপুর, আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের পাশে ও আঠারো বাড়ি কাঁচারি মোড়ে দফায় দফায় আওয়ামী লীগ ও হেফাজত কর্মীসহ হরতাল সমর্থনকারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল বিনিময় চলে। দুপুর ১২টা থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ চলে প্রায় আড়াইটা পর্যন্ত। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ অসংখ্য কাঁদানি গ্যাসের শেল, ফাঁকা গুলি ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
সংঘর্ষে আহত হয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ ওমান ও হেফাজত নেতা কিশোরগঞ্জ ইমাম উলামা পরিষদের প্রচার সম্পাদক মাও. কে এম নাজিমুদ্দিন এবং আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়ার কয়েকজন ছাত্র। সংঘর্ষের কারণে জেলা শহরের স্টেশন রোড এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
কিশোরগঞ্জ ইমাম উলামা পরিষদের সভাপতি ও হেফাজত নেতা মাও. শফিকুর রহমান জালালাবাদী জানান, তারা শান্তিপূর্ণ হরতাল পালন করতে চেয়েছিলেন। কোনো সংঘর্ষের পক্ষে ছিলেন না। এমনকি সংঘর্ষ চলাকালে তিনি শহীদি মসজিদের মাইকে বার বার হেফাজত কর্মীসহ মাদ্রাসা ছাত্রদের সড়ক ছেড়ে কাজে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ আফজল বলেন, হরতালের নামে জঙ্গি বাহিনী ন্যাক্কারজনকভাবে দলীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এর প্রতিবাদে বিকেল থেকে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি পালন করা হবে।
পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বলেন, পরিস্থিতি শান্ত রাখতে পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন আছে। তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন সহিংসতা থামাতে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতির কারণেই বড় ধরনের সহিংসতা ঘটেনি। তবে সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ কিছু কাঁদানি গ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
Comments