অব্যক্ত কথার গভীর ক্ষত
‘এই কথাগুলো বলা যায় না। আমি বলতে পারি না। জানেনই তো, তারা নারীদের সঙ্গে কী করেছিল।’
নিভা রানী পাল, এখন বয়স সত্তরের বেশি। সম্প্রতি এমন এক ঘটনার কথা স্মরণ করেছিলেন, যেটা কারো জীবনের সবচেয়ে ভয়ংকর দুঃস্বপ্নও হতে পারে না। এটা ঘটেছিল ১৯৭১ সালের ২৫ এপ্রিল নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার আতাইকুলা গ্রামে।
‘পাঞ্জাবিরা (পাকিস্তানি আর্মি ও তাদের দোসররা) আমাদের গ্রামটিকে ঘিরে নিয়েছিল। আমি আমার স্বামীর সঙ্গে আমাদের ঘরেই ছিলাম। ওরা আমাদের ঘরে ঢুকে তিন জন মিলে আমার স্বামীকে ধরে নিয়ে গেল। আমি তখন ছোট দুই সন্তানের মা। দুই জন আমাকে ধরে রেখেছিল, আমাকে ওরা পালাতে দেয়নি। একটা সময় আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলাম’, বলছিলেন নিভা রানী পাল।
নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনার বর্ণনা দেওয়ার সময় নিভা রানী মাথা নত করে রেখেছিলেন। তার দুচোখ অশ্রুতে ভরে উঠেছিল। গলার স্বর নিচু, ভাঙা ভাঙা শোনাচ্ছিল।
নিভা রানী এই গ্রামের হিন্দু ধর্মাবলম্বী ৩৫ জন নারীর একজন, যাদের নাম স্থানীয় কর্তৃপক্ষ গত বছরের সেপ্টেম্বরে ‘বীরাঙ্গনা’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছিল। একাত্তরের ওই দিনে গ্রামটিতে সংঘটিত গণহত্যায় যে ৫২ জন শহীদ হয়েছিলেন, নিভা রানীর স্বামী আকন্দ চন্দ্র পাল তাদের একজন।
২০১৯ সালে সরকার এই ৩৫ জন নারীর মধ্যে ১০ জনকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং তাদের ‘বীরাঙ্গনা’ উপাধিতে ভূষিত করেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১০ জনের মধ্যে চার জন স্বীকৃতি পাওয়ার আগেই মারা যান। আর বানি রানী পাল নামে একজন স্বীকৃতি পাওয়ার চার মাসের মধ্যে মারা যান। মৃত্যুর পর তার কফিনে বাংলাদেশের পতাকা জড়িয়ে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়েছিল।
স্বীকৃতি এখনো পাননি এমন ২৫ বীরাঙ্গনার মধ্যে আট জন ইতোমধ্যে মারা গেছেন। পৈতৃক মৃৎশিল্পের পেশা এখন ক্ষয়িষ্ণু হয়ে পড়ায় বাকি ১৭ জনের বেশিরভাগই অতি কষ্ট ও দারিদ্র্যের মধ্য দিয়ে দিন পার করছেন।
তালিকাভুক্ত নারীরা ছাড়াও এই গ্রামের আরও অনেক নারী মুক্তিযুদ্ধকালীন পাকিস্তানি বাহিনীর নারকীয় তাণ্ডবের শিকার হয়েছিলেন। একটি সরকারি স্বীকৃতি তাদের এই বয়সে কিছুটা রাষ্ট্রীয় ভাতা বা সহায়তা এনে দিতে পারত, বিশেষত যখন দেশ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে, কিন্তু, এখনো মুক্তিযুদ্ধের সময়কার নির্যাতনের শিকার নারীদের অনেকেই কথা বলতে রাজি নন।
নিভা রানী জানান, তিনি তার দুই ছেলের সঙ্গে মৃৎশিল্পে বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। কারণ, এটি ছিল তার স্বামীর পেশা।
‘বীরাঙ্গনা ১৯৭১’ বইয়ের লেখক ঐতিহাসিক অধ্যাপক মুনতাসির মামুনের মতে, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় চার লাখেরও বেশি নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। কিন্তু, সরকার কেবল দুই লাখের কথা স্বীকার করে।
‘আত্মত্যাগের কারণে যেখানে এই নারীদের সম্মানিত বোধ করা উচিত ছিল, পরিবর্তে তারা একটি ভিন্ন বাস্তবতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। সামাজিক কলঙ্কের কারণে, স্বীকৃতির অভাবে এই মহান নারীরা তাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া নির্যাতনের কথা বলারই সাহস পান না’, দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন অধ্যাপক মুনতাসির।
‘সরকারকে প্রতি আহ্বান থাকবে, যুদ্ধের সময় যেসব নারীদেরকে ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছিল, তাদেরকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়াটি যাতে দ্রুত সম্পন্ন করা হয়। একইসঙ্গে যেখানে প্রয়োজন সেখানে তাদের পরিচয় গোপন রাখতে কৌশল অবলম্বন করা উচিত। মানুষের প্রয়োজনেই আমলাতন্ত্র’, বলেন তিনি।
২০১৫ সালের অক্টোবরে সরকার হাইকোর্টের একটি রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধের সময় নির্যাতনের শিকার বীরাঙ্গনাদের নারী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
সরকারিভাবে স্বীকৃত বীরাঙ্গনারা মাসে ১২ হাজার টাকা ভাতা এবং সরকারি চাকরিতে বিশেষ কোটা এবং তাদের সন্তান ও নাতি-নাতনিদের জন্য সুবিধা পাওয়ার অধিকারী।
গত পাঁচ বছরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় মাত্র ৪২২ বীরাঙ্গনাকে নারী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পেরেছে।
ডা. এম হাসানের নেতৃত্বে যুদ্ধাপরাধের ঘটনা ও অনুসন্ধান কমিটির হিসাব অনুযায়ী, মুক্তিযুদ্ধের সময় কমপক্ষে এক লাখ ৬২ হাজার নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন এবং আরও এক লাখ ৩১ হাজার হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারী নিখোঁজ হয়েছিলেন।
আতাইকুলা গ্রামের আরও দুই বীরাঙ্গনার সঙ্গে কথা বলে ডেইলি স্টার। তারাও পাকিস্তানি বাহিনীর নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।
বীরাঙ্গনা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া কালী রানী পাল বলেন, ‘পাকিস্তানিরা আমার স্বামী অনিল চন্দ্র পালকে হত্যা করেছিল। আমি তখন অন্তঃসত্ত্বা ছিলাম। তারা রাইফেলের বাট দিয়ে পেটে আঘাত করেছিল। এতে আমার সন্তান মারা যায়।’
সুজলা রানী পাল এখনো বীরাঙ্গনা স্বীকৃতি পাননি। তিনি বলেন, ‘সেদিনের নির্যাতনের পরে খুব কঠিন দিন পার করি। ভাত খেতে পাইনি। রান্না করে খাওয়া আমাদের কারো ভাগ্যে জোটেনি। অনেক দিন অনাহারে কাটিয়েছি।’
শহীদদেরও স্বীকৃতি মেলেনি
বীরাঙ্গনাদের মতো আতাইকুলার গণহত্যার শিকার ৫২ জন শহীদ এখনো ‘শহীদ’ স্বীকৃতি পাননি।
গিরেন্দ্রনাথ পালের বয়স আশির কাছাকাছি। গণহত্যার ওই দিন মুখ, ডান হাত ও পায়ে গুলির ক্ষত নিয়ে প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি।
‘শহীদদের তলে পড়ে থাকায় গুলি লাগা সত্ত্বেও আমি বেঁচে যাই। এতদিনেও শহীদদের স্বীকৃতি দেওয়া হলো না। এই স্বীকৃতির জন্য যুদ্ধের পর থেকে আমি অনেক জায়গায় গিয়েছি’, বলছিলেন গিরেন্দ্রনাথ।
গৌতম পাল দীর্ঘদিন ধরে তার পিতা গোবিন্দ চরণ পালসহ শহীদদের স্বীকৃতির জন্য লড়াই করে আসছেন। এজন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় পেরিয়ে তাকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পর্যন্ত যেতে হয়েছিল।
পরিশেষে, ২০১৫ সালের মার্চে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় শহীদদের স্বীকৃতি দেওয়ার আদেশ দেয়।
গৌতম পাল বলেন, ‘এরপরে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) পক্ষে শহীদ পরিবারের স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য যাচাই-বাছাই শেষ করতে গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত আরও পাঁচ বছর সময় লেগেছিল। আমরা আশা করি শিগগিরই সরকারি স্বীকৃতি আসবে।’
মিরাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল আলম ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘যারা এখনো স্বীকৃতি পায়নি, তাদের জন্যে কাগজপত্র জমা দেওয়াসহ সব ধরনের সহায়তা আমরা করেছি। শিগগিরই তাদের স্বীকৃতি দেওয়া হবে বলে সরকারি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে শুনেছি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জামুকার এক কর্মকর্তা ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমরা যাচাই-বাছাই শেষে কাগজপত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠিয়েছি। যারা স্বীকৃতি পাননি, শিগগিরই তারা স্বীকৃতি পেয়ে যাবেন।’
আতাইকুলা গণহত্যা
রাজশাহী শহর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে আতাইকুলা গ্রাম ছোট যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত। ১৯৭১ সালে এই নদীপথ ছিল গ্রামে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। সেসময় সেখানে পাল, সূত্রধর ও সাহা গোত্রের প্রায় ১১৫টি হিন্দু ধর্মাবলম্বী পরিবার বাস করত।
তাদের মধ্যে প্রায় ১৫টি পরিবার ধনী কৃষকদের এবং অন্যরা ছিলেন ক্ষুদ্র কৃষক বা কামার, যারা ইটের টালি ও মাটির উপকরণ তৈরি করতেন।
একাত্তরের ২৫ এপ্রিল প্রায় দেড় শ পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় সহযোগীরা ছয়টি নৌকায় করে আতাইকুলায় প্রবেশ করেছিল এবং সকাল ৯টা থেকে আট ঘণ্টা ধরে গ্রামে নারকীয় তাণ্ডব চালিয়েছিল। তারা বাড়িঘরে হামলা করে ৬০ জন পুরুষকে ধরে নিয়ে জোগেন্দ্রনাথ পালের দোতলা বাড়ির উঠোনে জড়ো করেছিল।
তারা পুরুষদের দুইটি ভাগে বিভক্ত করেছিল। একদলে ছিল যারা স্বেচ্ছায় অর্থ-সম্পদ ও স্বর্ণ দিতে রাজি হয়েছিল, তারা। আর অন্য দলে যাদের দেওয়ার মতো কিছু ছিল না, তারা। যারা কিছু দিতে পারেনি তাদেরকে প্রথমে এবং পরে অন্য দলের ওপর মেশিনগান থেকে গুলিবর্ষণ করেছিল পাকিস্তানি সেনারা। গুলিতে ৫২ জন শহীদ হন।
ধন-সম্পদ লুণ্ঠন, নারীদের নির্যাতন শেষে পাকিস্তানি ও তাদের সহযোগীরা ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে চলে যায়। পরে ৫২ শহীদদের মরদেহ হিন্দু আচার-অনুষ্ঠান অনুসরণ না করেই জোগেন্দ্রনাথের বাড়ির কাছে একটি স্থানে একত্রে সমাহিত করা হয়েছিল।
ওই গণহত্যা থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন আট জন। তাদের কেউ গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন, কেউ আহত না হয়েই বেঁচে যান।
তৎকালীন এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রদ্যুত পাল বেঁচে যাওয়া আট জনের একজন। এই গণহত্যায় তিনি তার বাবা, এক চাচা ও তিন ভাইকে হারিয়েছিলেন। পাকিস্তানিদের যারা কোনো সম্পদ দিতে পারেনি, তারা সেই দলে ছিলেন।
‘আমি গুলি এড়াতে যথাসম্ভব নিচু হয়ে ছিলাম। কয়েক শ গুলি আমার মাথায় উপর দিয়ে গিয়েছিল। গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে যাওয়া একজন আমার ওপর পড়ে গেল। আমি নড়াচড়া করছিলাম। তিনি আমাকে চুপ থাকতে বলেছিলেন। পরে তিনি আমার ওপর থেকে সরে যান’, বলছিলেন প্রদ্যুত পাল।
‘আমাকে লোকে আহত মনে করেছিল। আমার সারাদেহ রক্তাক্ত ছিল। কিন্তু, আমার গায়ে একটি গুলিও লাগেনি। মুহূর্তেই জায়গাটিতে যেন রক্তের বন্যা হয়ে গিয়েছিল।’
নির্যাতন ও ধর্ষণ নিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর মধ্যে বিভক্তি ছিল বলে জানান প্রদ্যুত।
‘হামলাকারীদের মধ্যে পাঞ্জাবি, বিহারি ও বেলুচিস্তান থেকে আগত সৈন্যরা ছিল। বেলুচরা ধর্ষণ, নির্যাতন ও লুণ্ঠনের বিরুদ্ধে ছিল। পাঞ্জাবিরা যখন আমার এক ভাইকে গুলি করতে উদ্যত হয়েছিল, তখন এক বেলুচ সৈন্য প্রতিবাদ করেছিল।’
প্রদ্যুত স্থানীয় বাঙালি রাজাকারদেরকে পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের মধ্যকার এই বিভাজন সম্পর্কে গল্প করতেও শুনেছিলেন।
‘আমরা এখানে যুদ্ধের জন্য এসেছি। কিন্তু, এটা কীভাবে যুদ্ধক্ষেত্র হতে পারে? যুদ্ধ না করে আমরা সাধারণ নিরস্ত্র গ্রামবাসীর ওপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছি’, এক বেলুচ কর্মকর্তা আরেক পাঞ্জাবি কর্মকর্তাকে উর্দুতে এই কথাই বলেছিলেন বলে জানান প্রদ্যুত। প্রদ্যুত উর্দু বলতে ও বুঝতে পারেন।
‘তখন পাঞ্জাবি অফিসার তাকে এই বলে চুপ করিয়ে দিয়েছিল যে, এটাই উচ্চপর্যায়ের আদেশ’, বলেন প্রদ্যুত।
হত্যার আগে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী রেডিওর মাধ্যমে তাদের সদর দপ্তরের কাছে পরামর্শ চেয়েছিল।
‘আতাইকুলা একটি গ্রাম নয়, বরং বড় বড় ভবনের একটি শহর। এখানকার সমস্ত বাসিন্দা মালাউন (হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অবমাননা করে বলা হয়)। তাদের কাছে প্রচুর অর্থ-সম্পদ ও স্বর্ণ রয়েছে’, রেডিওতে এক পাকিস্তানি কর্মকর্তাকে এগুলোই বলতে শোনেন প্রদ্যুত।
রেডিওতে অন্যপাশ থেকে পুরুষ কণ্ঠে সবাইকে হত্যা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
প্রদ্যুত বলছিলেন, ‘হত্যার জন্য পুরুষদের ধরে আনার সময় পাকিস্তানি বাহিনী হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারীদের নিজ নিজ ঘরে এবং কিছু সংখ্যক নারীদের জোগেন্দ্রনাথ পালের দোতালায় বন্দি করেছিল।’
‘আমরা জানি আমাদের গ্রামে সেসময় যতজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী ছিলেন, তাদের কেউই এই নির্মমতা থেকে রেহাই পাননি। পরে কেউ কেউ আত্মহত্যা করেছেন, আবার কেউ কেউ আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। অনেকেই মানসিক যন্ত্রণা নিয়ে সারাজীবন অবিবাহিত থেকেই মারা যান’, বলেন প্রদ্যুত।
‘আতাইকুলাসহ নওগাঁর অন্য স্থানগুলোতে সংগঠিত গণহত্যা ও নারীদের প্রতি সহিংসতার ঘটনাগুলো জেলার তরুণদের নাড়িয়ে দিয়েছিল এবং তাদেরকে মুক্তিযুদ্ধে যেতে উদ্বুদ্ধ করেছিল’, ডেইলি স্টারকে বলেন প্রতিবেশী দুর্গাপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. শরিফুল ইসলাম খান।
‘আমি নিজে ও জেলায় আমার মতো বেশিরভাগ তরুণদের কেউই বাড়িতে বসে থাকেনি। মাতৃভূমি হানাদার মুক্ত করার জন্য মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে আমরা বেরিয়ে পড়েছিলাম’, যোগ করেন অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম খান।
Comments