এবার সেঞ্চুরি পেয়েছেন তুষার, মুকিদুলের ছয় উইকেট
জাতীয় লিগের আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১ রান দূরে থাকতে রানআউট হয়েছিলেন তুষার ইমরান। নার্ভাস নাইন্টিজে আউট হওয়ার আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন। তবে পরের ম্যাচেই আক্ষেপ ঘুচিয়েছেন তিনি। রংপুর বিভাগের বিপক্ষে এদিন পৌঁছেছেন তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে।
সোমবার রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে প্রথম টায়ারের ম্যাচে তুষারের সেঞ্চুরিতে ভোর করে প্রথম ইনিংসে ২২১ রানে অলআউট হয় খুলনা। আর নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেটে ১০৩ রান তুলে দিন শেষ করেছে রংপুর। ফলে প্রথম দিন শেষে ১১৮ রানে পিছিয়ে আছে দলটি।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধর তোপে পড়ে শুরুটা ভালো করতে পারেনি খুলনা। দলীয় ১৯ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে দলটি। তবে চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানকে নিয়ে দলের হাল ধরেন তুষার। গড়েন ৭৪ রানের জুটি। এরপর অধিনায়ক ফিরে গেলে নাহিদুল ইসলামের সঙ্গে ৬৩ রানের আরও একটি জুটি গড়েন তুষার।
কিন্তু এ জুটি ভাঙতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে খুলনা। শেষ দিকেও তোপ দাগান মুকিদুল। অল্পতেই ছাঁটাই করেন লেজের ব্যাটসম্যানদের। ফলে ২২১ রানেই অলআউট হয়ে যায় দলটি।
তবে এক প্রান্তে সাবলীল ব্যাট চালাতে থাকেন তুষার। তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৩২তম সেঞ্চুরি। মুকিদুলের বলে আউট হওয়ার আগে করেন ১১৬ রান। ১৩৬ বলের ইনিংসটি ২১টি চার দিয়ে সাজান এ ব্যাটসম্যান। এছাড়া সোহান ৩১ ও নাহিদুল ২৯ রান করেন।
রংপুরের পক্ষে ৬৪ রানের খরচায় ৬টি উইকেট পান মুকিদুল। আরিফুল হক ও নবীন ইসলামের শিকার ২টি করে।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রংপুরেরও। দলীয় ১২ রানেই ওপেনার নবীন ইসলামকে হারায় তারা। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে সোহরাওয়ার্দী শুভর সঙ্গে ৪০ রানের জুটিতে প্রাথমিক চাপ সামলে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন আরেক ওপেনার জাহিদ জাভেদ। তবে ১১ রানের ব্যবধানে এ দুই ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফিরলে ফের চাপে পড়ে যায় দলটি। তবে চতুর্থ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৪০ রানের জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তানবির হায়দার ও নাসির হোসেন।
তানবির ২৯ ও নাসির ১৯ রানে অপরাজিত আছেন। জাহিদের ব্যাট থেকে আসে ৩২ রান। খুলনার পক্ষে ১টি করে উইকেট নিয়েছেন আব্দুল হালিম, মাসুম খান ও জিয়াউর রহমান।
Comments