পরের ম্যাচে শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসার আশাবাদ মাহমুদউল্লাহর
৭ ওভারে দলীয় সংগ্রহ ১ উইকেটে ৭৬ রান। পরের ৬৪ বলে দরকার আরও ৯৫ রান। হাতে ৯ উইকেট আর সৌম্য সরকার ছন্দে থাকায় ক্ষীণ হলেও সম্ভাবনার রেখা দেখতে পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে বাকিদের ব্যর্থতায় তা দ্রুত মিলিয়ে যাওয়ায় নিউজিল্যান্ডের কাছে হারই মানতে হলো তাদেরকে। বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ অবশ্য পরে জানালেন, এই ম্যাচের ইতিবাচক দিক হলো তাদের ব্যাটিং।
বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ড। মঙ্গলবার নেপিয়ারে বৃষ্টিবিঘ্নিত দ্বিতীয় ম্যাচে ডি/এল মেথডে তারা জিতেছে ২৮ রানে। হ্যামিল্টনে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৬৬ রানের জয় পেয়েছিল তারা।
এদিন টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৭.৫ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৩ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। এরপর নামে দ্বিতীয় দফার বৃষ্টি। তাদের ইনিংসে ১২.২ ওভারের পর নেমেছিল প্রথম দফা বৃষ্টি। কিউইদের বড় সংগ্রহে ৩১ বলে সর্বোচ্চ ৫৮ রান আসে গ্লেন ফিলিপসের ব্যাট থেকে। তার সঙ্গী মিচেল মাত্র ১৬ বলেই করেন ৩৪ রান। তাদের অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে আসে মাত্র ২৭ বলে ৬২ রান!
বাংলাদেশের লক্ষ্য তাড়ায় হয় গোলমাল। ১৬ ওভারে ডি/এল মেথডে ১৪৮ রান তাড়া করতে হবে জেনে মাঠে নামে টাইগাররা। কিন্তু ১.৪ ওভারের পর আচমকা খেলা বন্ধ করে দেন আম্পায়াররা। এরপর বাংলাদেশকে দেওয়া হয় ১৭১ রানের নতুন লক্ষ্য। ওই ১৬ ওভারেই!
সৌম্যর ঝড়ে কিছুটা আশা জাগিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে এই বাঁহাতি ২৭ বলে ৫১ করে আউট হওয়ার পর লড়াই থেকে ছিটকে যায় তারা। ওপেনার নাঈম শেখের মন্থর ব্যাটিংয়ের পর প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ-আফিফ হোসেনরা। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ১৪২ রান তোলে সফরকারীরা।
ম্যাচশেষে মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ব্যাটিংয়ের শেষটা তারা ঠিকমতো করতে পারেননি, ‘আমি মনে করি, শুরুতে কিছুটা বিভ্রান্তি ছিল। কারণ, ডি/এল স্কোর কত, তা আমরা জানতাম না। স্কোরবোর্ডে ক্রমাগত এটা পরিবর্তিত হচ্ছিল। এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। প্রথম পাঁচ ওভারে আমরা সঠিক পথে ছিলাম। কিন্তু আমরা শেষ করতে পারিনি। সৌম্য-নাঈম দারুণ ব্যাটিং করেছে। যে বলগুলো আমরা মিস করেছি, সেগুলো আমাদের কাজে লাগানো উচিত ছিল।’
তিনি যোগ করেছেন, পরের ম্যাচে ভালো কিছু করে দেখাতে চান তারা, ‘টি-টোয়েন্টিতে আপনার শুরুটা মাঝে মাঝে ভালো হয়। আবার মাঝে মাঝে ভালো হয় না। কিন্তু ব্যাটিং-বোলিং যা-ই হোক না কেন, আপনাকে ভালোভাবে শেষ করতে হবে। এই ম্যাচে ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে কিছু ইতিবাচক দিক আমরা দেখতে পারি এবং পরের ম্যাচে শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসতে পারি।’
Comments