গণস্বাস্থ্যে ৫ হাজার টাকায় প্লাজমা, করোনামুক্তদের রক্তদানের আহ্বান
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের প্লাজমা দেওয়ার জন্য করোনা থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের প্রতি রক্তদানের আহ্বান জানিয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু বলেন, ‘করোনা বাড়ছে, ভয়ানক রূপ ধারণ করছে, করোনা চিকিৎসায় অনেক প্লাজমা প্রয়োজন। করোনা থেকে সুস্থ ব্যক্তির রক্ত থেকে প্লাজমা তৈরি করা হয়। করোনা থেকে সুস্থ ব্যক্তিরা রক্তদান করুন। একে অপরকে রক্তদানের বিষয়ে আগ্রহ সৃষ্টি করে অন্যের জীবন রক্ষায় অংশ নিন।’
একইসঙ্গে যাদের প্লাজমা প্রয়োজন তাদেরকেও রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের গণস্বাস্থ্য প্লাজমা সেন্টারে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এক বার্তায় এ আহ্বান জানানো হয়।
গণস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যেকোনো গ্রুপের ৪৫০ মিলিগ্রামের এক
ব্যাগ প্লাজমা পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। তাদের হাসপাতালে অত্যাধুনিক প্লাজমা সেন্টার রয়েছে। ২৪ ঘণ্টা প্লাজমা সেন্টারটি দিনরাত খোলা থাকে। ফলে যাদের প্লাজমা প্রয়োজন তাদেরকে ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা চিকিৎসায় প্লাজমা অত্যন্ত কার্যকরী একটি পদ্ধতি। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর প্লাজমা দেওয়ার ফলে রোগীর পুনরুজ্জীবন লাভ সম্ভব। যিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তিনি সুস্থ হওয়ার ১৫ থেকে ২১ দিন পর যদি রক্তদান করেন এবং তার শরীরে যদি নিউট্রালাইজড অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে থাকে, তাহলে সেই প্লাজমা সবচেয়ে বেশি কার্যকর হয়। অর্থাৎ করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার ১৫ থেকে ২১ দিন পর রক্ত দিলে সেটা বেশি কার্যকর হয়। প্লাজমা দেওয়ার বিষয়ে প্রথম কাজ হলো প্লাজমা সংগ্রহ করা, দ্বিতীয়ত করোনা রোগীদের প্লাজমা দেওয়া। প্রথমে কেউ রক্তদান করলে সেই রক্ত থেকে প্লাজমা পৃথক করা হয়।
এজন্য গণস্বাস্থ্যের অত্যাধুনিক সরঞ্জামসহ ব্লাড ট্রান্সমিশন সেন্টার রয়েছে। প্লাজমা পৃথক করে সেটি সংরক্ষণের জন্য একটি প্লাজমা ব্যাংকও রয়েছে বলে জানিয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
আরও পড়ুন:
গণস্বাস্থ্যের প্লাজমা সেন্টার চালু
আমরা প্লাজমা সেন্টার চালু করতে যাচ্ছি: ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী
দেশের প্রতিটি জেলায় প্লাজমা সেন্টার হওয়া দরকার: ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী
Comments