‘কোভিশিল্ড’ উৎপাদনের ৯ মাস পর্যন্ত ব্যবহারের অনুমোদন
ভারতে উৎপাদিত অ্যাস্ট্রাজেনেকার ‘কোভিশিল্ড’ ভ্যাকসিন উৎপাদনের পর নয় মাস পর্যন্ত ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এর আগে, ছয় মাস পর্যন্ত ব্যবহারের অনুমোদন ছিল সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত ‘কোভিশিল্ড’।
এ সংক্রান্ত নথি পর্যালোচনা করে ও একটি সূত্রের বরাত দিয়ে আজ মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
সেরাম ইনস্টিটিউটের একটি আবেদনের জবাবে গত মাসে ভারতের ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল ভি জি সোমানি একটি চিঠিতে লেখেন, ‘আপনাদের লেবেল না খোলা ভ্যাকসিনের ভায়াল নয় মাস পর্যন্ত ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হলো।’
সোমানির অনুমোদনের বিষয়টি আফ্রিকার কয়েকটি দেশে জানানো হয়েছে। রয়টার্স এর পর্যালোচনাও করেছে। তবে অব্যবহৃত ভায়ালের ক্ষেত্রে এ অনুমোদন প্রযোজ্য হচ্ছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। প্রতি ভায়ালে সাধারণত পাঁচ মিলিলিটার ভ্যাকসিন বা ভ্যাকসিনের ১০ ডোজ থাকে।
বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার অনুমতি না থাকলেও এর সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্টতা আছে এমন একটি সূত্র জানায়, সেরামের জমা দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে তথ্যগুলো কী ধরনের, তা নির্দিষ্ট করে জানায়নি সূত্র।
সোমানি, সেরাম ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার কাছে মন্তব্য চাওয়া হলেও তাত্ক্ষণিকভাবে রয়টার্সের কাছে তারা কোনো জবাব দেননি।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা গত সপ্তাহে একটি বিবৃতিতে জানায়, স্বাভাবিক রেফ্রিজারেটেড অবস্থায় তাদের ভ্যাকসিন ছয় মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ, পরিবহন ও ব্যবহার করা যাবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটেও কোভিশিল্ড ও দক্ষিণ কোরিয়ায় তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা ভ্যাকসিন ছয় মাস পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে বলে উল্লেখ আছে।
ছয় মাসের মেয়াদ বাড়িয়ে নয় মাস না করা হলে আফ্রিকার কয়েকটি দেশে পাঠানো সেরামের কোভিশিল্ডের ১০ লাখেরও বেশি ডোজ ভ্যাকসিন আগামী মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে।
Comments