ধান ঘরে তুলতে পারলে করোনাকালেও খাদ্য নিয়ে ঝুঁকি থাকবে না: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বোরো ধান সফলভাবে ঘরে তুলতে পারলে করোনাকালেও দেশে খাদ্য নিয়ে কোনো ঝুঁকি থাকবে না।
abdur-razzak.jpg
কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। ফাইল ছবি

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বোরো ধান সফলভাবে ঘরে তুলতে পারলে করোনাকালেও দেশে খাদ্য নিয়ে কোনো ঝুঁকি থাকবে না।

কৃষিমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে অনলাইনে সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের আস্তনা গ্রামে ধানকাটা কার্যক্রমের উদ্বোধন করার সময় এ কথা বলেন বলে মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, হাওরসহ সারা দেশের বোরো ধান সফলভাবে ঘরে তুলতে পারলে দেশে খাদ্য নিয়ে তেমন ঝুঁকি থাকবে না। আমরা স্বস্তিতে থাকতে পারব। সেজন্য, সফলভাবে বোরো ধান কাটার জন্য সম্মিলিতভাবে সারা জাতিকে এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, মহামারির মধ্যে খাদ্য নিয়ে মানুষকে যাতে আতঙ্কে থাকতে না হয়, খাদ্যের যাতে কোনো অভাব না হয়, আমরা সেটি নিশ্চিত করতে দৃঢ়ভাবে কাজ করছি। বোরো মৌসুমে দেশে সবচেয়ে বেশি ধান চাল উৎপাদন হয়। সেজন্য হাওরসহ সারা দেশের ধানকাটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, এ বছর প্রায় ৪৮ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এই লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে সারাদেশে ৪৮ লাখ ৮৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে।

উৎপাদনশীলতা বেশি হওয়ায় হাইব্রিড জাতের ধানের চাষ বৃদ্ধিতে এবছর জোর দেয়া হয়েছিল। সেজন্য, গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩ লাখ হেক্টর জমিতে হাইব্রিডের আবাদ বেড়েছে। গড়ে হেক্টর প্রতি এক টন করে বেশি ফলন হলেও কমপক্ষে তিন লাখ টন উৎপাদন বাড়বে।

উল্লেখ্য, এ বছর বোরোতে দুই কোটি পাঁচ লাখ টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে চালের চাহিদা বেড়েছে। দেশে সাড়ে ১৬ কোটি মানুষ। প্রতি বছর ২২ লাখ নতুন মুখ যোগ হচ্ছে, এদের অন্ন আমাদেরকে দিতে হয়। ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাদের খাবার জোগান দিতে হচ্ছে। ডব্লিউএফপি বাংলাদেশ থেকে খাদ্য কিনেই রোহিঙ্গাদের দেয়, বাইরে থেকে আনা হয় না।

তিনি আরও বলেন, গত মৌসুমে বন্যার কারণে ধান চালের দাম কিছুটা বেশি ছিল। সেজন্য বছরের শুরুতেই আমরা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলাম যে কোন মূল্যে উৎপাদন বাড়াতে হবে। বোরো ধানের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য আমরা এ বছর বেশি করে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণ প্রণোদনা দিয়েছি। শুধু হাইব্রিড জাতের ধানের চাষ বাড়াতে প্রায় ৭৩ কোটি টাকার প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এতে করে কৃষকেরা উৎসাহিত হয়েছে।

এসময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেসবাহুল ইসলাম, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক উপস্থিত ছিলেন।

ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

4h ago