বাংলাদেশের চেয়ে কম বলে অলআউট হয়েছে কেবল তুরস্ক!
নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স এমনিতেই চূড়ান্ত বাজে। তবে এবারের সফরে সেটা যেন পৌঁছে গেল তলানিতে! তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষটিতে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে মাত্র ৯.৩ ওভারে বা ৫৭ বলে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এর চেয়ে কম বলে গুটিয়ে যাওয়ার রেকর্ড আছে কেবল দুটি। দুটিই তুরস্কের দখলে, যাদের ওয়ানডে স্ট্যাটাসও নেই!
বৃহস্পতিবার অকল্যান্ডে বৃষ্টি-বিঘ্নিত তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৬৫ রানের বড় ব্যবধানে জিতেছে নিউজিল্যান্ড। ওয়ানডের পর ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণেও বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করেছে স্বাগতিকরা। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে তাণ্ডব চালিয়ে নিউজিল্যান্ড ১০ ওভারে তোলে ৪ উইকেটে ১৪১ রান। জবাবে সফরকারীরা টিকতে পারেনি ১০ ওভারও। দিশেহারা ব্যাটিংয়ে ৩ বল বাকি থাকতে তারা গুঁড়িয়ে গেছে মাত্র ৭৬ রানে।
টি-টোয়েন্টিতে কোনো দলের সবচেয়ে কম বলে অলআউট হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল ২০১৯ সালের ৩০ অগাস্ট। কন্টিনেন্টাল কাপে চেক প্রজাতন্ত্রের বিপক্ষে তুরস্ক খেলতে পেরেছিল সাকুল্যে ৮.৩ ওভার বা ৫১ বল। সেদিন মাত্র ২১ রানেই শেষ হয়েছিল তাদের ইনিংস, যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর। আগে ব্যাট করা চেকরা ম্যাচটা জিতেছিল ২৫৭ রানে।
পরদিনই আরেকটি অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড গড়ে তুরস্ক। একই প্রতিযোগিতায় অস্ট্রিয়া তাদের ইনিংস মুড়িয়ে দেয় ৮.৫ ওভারে বা ৫৩ বলে। মাত্র ৩২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় পরে অস্ট্রিয়ানরা পায় ১০ উইকেটের বিশাল জয়, ২.৪ ওভার খেলে।
৭৬ হলো টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার ম্যাচেও তাদের প্রতিপক্ষ ছিল নিউজিল্যান্ড। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে টাইগাররা করতে পেরেছিল ৭০ রান। ১৪৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশ খেলেছিল ১৫.৪ ওভার বা ৯৪ বল। এতদিন সেটাই ছিল অলআউট হওয়া ইনিংসে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের সবচেয়ে কম বল খেলার নজির।
উল্লেখ্য, এই সফরের আগে নিউজিল্যান্ডে স্বাগতিকদের বিপক্ষে সব সংস্করণ মিলিয়ে ২৬ ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। হেরেছিল সবগুলোতেই। এবারও বিবর্ণ ইতিহাস বদলানো যায়নি। দ্বীপদেশটিতে দুদলের জয়-পরাজয়ের পরিসংখ্যানটা এখন তাই নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ৩২-০!
Comments