নন্দীগ্রামে ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষ: কারচুপির অভিযোগ মমতার
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ আসন নন্দীগ্রামে আজ ভোটগ্রহণ হয়েছে। আসনটিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যার্নাজি নিজে প্রার্থী হয়েছেন। মমতার বিপরীতে দাঁড়িয়েছেন তারই একসময়ের অনুগত বর্তমান বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
হিন্দুস্তান টাইম জানায়, বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামের একটি ভোটকেন্দ্রে ব্যাপক সংঘর্ষে জড়ায় তৃণমূল ও বিজেপি নেতা-কর্মীরা। দুই দলই সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে। নন্দীগ্রামের বয়াল স্কুলে ভোটকেন্দ্রে প্রায় দুই ঘণ্টা আটকে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূলের অভিযোগ, ভোট লুট করা হয়েছে। তৃণমূলের এজেন্টদের বসতে দেওয়া হয়নি।
মমতা ভোটকেন্দ্রে থাকা অবস্থাতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বাইরে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেওয়া হয়।
ভোটকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসার পর মমতা বলেন, ‘যিনি বিজেপির হয়ে এখানে দাঁড়িয়েছেন, তিনি তাণ্ডব চালিয়েছেন। আমরা ইতোমধ্যেই নির্বাচন কমিশনে ৬৩টি অভিযোগ করেছি।’
অমিত শাহের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। তারা আমাদের বন্ধু। কিন্তু অমিত শাহের নির্দেশে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।’
নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেন মমতা।
নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাস জানিয়ে মমতা বলেন, ‘আমি নন্দীগ্রাম নিয়ে চিন্তিত নই। গণতন্ত্র নিয়ে চিন্তিত। এখানে ভোটে কারচুপি হয়েছে। সকাল থেকে ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না।’
অন্যদিকে, বিজেপির অভিযোগ, বুথে বহিরাগতদের নিয়ে এসেছেন মমতা।
মমতা ব্যার্নাজির বেরিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই বয়াল বুথ পরিদর্শন করেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘মমতা হেরে যাবে। একটা প্রার্থী সকাল থেকে বের হয়নি। “বেগমের” এখান থেকে জেতা হচ্ছে না।’
নন্দীগ্রামের নির্বাচন নিয়ে মমতাকে উদ্দেশ্য করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘নন্দীগ্রামে যা হলো তা আমরা সবাই দেখলাম। এটা দেখা যাচ্ছে দিদি পরাজয় মেনে নিয়েছেন। আপনি আবার আর একটা আসন থেকে দাঁড়াবেন না তো!’
বৃহস্পতিবার বিধানসভায় নির্বাচনী সভার বক্তব্যে মোদি বলেন, ‘প্রথম দফার ভোটে মানুষের যে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি, তাতে বিজেপির দুইশ’র বেশি আসন নিশ্চিত। গোটা বাংলা (পশ্চিমবঙ্গ) যা করবে, নন্দীগ্রাম তা আজই দেখিয়ে দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দশ বছর শোষণ আর তোষণ করে তৃণমূলের কাছে বাংলা (পশ্চিমবঙ্গ) খেলার মাঠ হয়ে উঠেছিল। এখনও খেলার মাঠ আছে। খেলার মাঠই থাকবে। তবে ক্ষমতায় আসার পর বিজেপির জন্যে বাংলা উন্নয়নের মাঠ হয়ে উঠবে।’
Comments