মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে হাজারো মানুষ
দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে ১১টা পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে।
করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের মধ্যেই মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলো। যদিও কেন্দ্রের ভেতরে পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষার্থীদের ও কেন্দ্রের বাইরে অপেক্ষমাণ অভিভাবকদের স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা থাকবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। কিন্তু, রাজধানীর কয়েকটি কেন্দ্রের বাইরে সামাজিক-শারীরিক দূরত্ব না মেনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে হাজারো অভিভাবককে।
ঘটনাস্থল থেকে দ্য ডেইলি স্টারের আলোকচিত্রী জানান, পরীক্ষা শুরুর আগে সামাজিক-শারীরিক দূরত্ব না মেনেই হাজারো অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন। পরীক্ষা শুরু পরে একইভাবে অভিভাবকরা অবস্থান করছেন। তবে, কয়েকজন ছাড়া তারা সবাই মাস্ক পরেছেন।
রাজধানীর উদয়ন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে অপেক্ষারত অভিভাবক নুরুল আজম ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এখানে নিরাপত্তাকর্মী আছেন মাত্র পাঁচ থেকে ছয় জন। তাদের পক্ষে এত ভিড় সামলানো সম্ভব না। তা ছাড়া, অভিভাবকদের মধ্যেও সচেতনতার অভাব আছে। ঢোকার সময় গেটের সামনে অভিভাবকরা জটলা বেঁধে দাঁড়িয়েছিলেন। বের হওয়ার সময়ও তাই। শিক্ষার্থীদের যে লাইন তার পাশেই ধাক্কাধাক্কি করছেন অভিভাবকরা।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের গেটের বাইরে আরেক অভিভাবক জানান, একজন পরীক্ষার্থীর সঙ্গে একজনের বেশি কেউ আসতে পারবেন না, এরকম একটি সুস্পষ্ট নির্দেশনা সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া দরকার ছিল। দেখা যাচ্ছে, মা-বাবা দুজনই এসেছেন। দুই জনই গেট পর্যন্ত সন্তানকে এগিয়ে দিচ্ছেন। ফলে ভিড় এড়িয়ে সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব হচ্ছে না।
সকাল ৭টা থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোতে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা আসতে শুরু করেন। রাস্তায় যানবাহন সংকটের কারণে তারা ঝুঁকি নিতে চাননি বলে সকাল সকাল বেরিয়েছেন বলে জানান।
উদয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পরীক্ষার্থী জিনাত আরা চেতনা ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ঢোকার সময় সামাজিক দূরত্ব মানা হয়নি। তবে, সবার মুখে মাস্ক ছিল৷ কেন্দ্রের ভেতরে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হয়েছে।’
উদয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে এক সিটে একজন পরিক্ষার্থী বসেছেন বলে জানান তিনি।
আরেক পরীক্ষার্থী আয়ুস্মান রায় ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমার কেন্দ্রে ভেতরে ঢোকার সময় গেটে ভিড়, ঠেলাঠেলি হলেও ভেতরে সামাজিক দূরত্ব মানা হয়েছে। বের হওয়ার সময়ও শৃঙ্খলা ছিল।’
পরীক্ষা কেমন হয়েছে জানতে চাইলে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই ‘প্রশ্নপত্র কঠিন হয়েছে’ বলে জানান।
এ বছর ভর্তি পরীক্ষার্থী সংখ্যা এক লাখ ২২ হাজার ৮৭৪ জন। পাশাপাশি এ বছর করোনার কারণে সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কেন্দ্র সংখ্যা ১৯টি এবং ভেন্যু সংখ্যা ৫৫টি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের ৪৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের আসন সংখ্যা চার হাজার ৩৫০টি। এছাড়া, আরো ৭০টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আরও আট হাজার ৩৪০ জন ভর্তি হতে পারবে।
Comments