এক দশকে উত্তর কোরিয়ায় নাটকীয়ভাবে বেড়েছে পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি
জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছে উত্তর কোরিয়া।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানায়, ২০১০ সালে কিম জং উন ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশটিতে পারমাণবিক অস্ত্রের কর্মসূচি নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। মার্চে পরমাণু ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে পিয়ংইয়ং।
ওয়াশিংটনের থিংক ট্যাংক নিউক্লিয়ার থ্রেট ইনিশিয়েটিভের ডেটাবেজ অনুযায়ী, উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা, কিম জং উনের পিতামহ কিম ইল সুং ১৯৮৩ থেকে ১৯৯৩ সালের মধ্যে ১৫টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছিলেন।
অন্যদিকে, কিম জং উন চারটি পারমাণবিক পরীক্ষা ও ৯১ টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। পাশাপাশি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেটচালিত অস্ত্র পরীক্ষাও হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে কাতো ইনস্টিটিউটের প্রতিরক্ষা নীতি বিষয়ক গবেষণার পরিচালক এরিক গোমেজ আল জাজিরাকে বলেন, ‘তারা স্পষ্টতই এই ধরনের অস্ত্রের কর্মসূচিকে তাদের অস্তিত্ব রক্ষার মূল চাবিকাঠি হিসেবে দেখে এবং তারা থামবে না।’
তবে, যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তর প্রচেষ্টা ও সমঝোতার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজে পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
এরিক গোমেজ আরও বলেন, ‘আমেরিকা যদি এর থেকে কূটনৈতিক পথ খুঁজে নিতে চায় তবে তা মারাত্মক হয়ে উঠবে।’
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কঠোর নিষেধাজ্ঞাগুলোর মধ্যেই উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের কর্মসূচি অব্যাহত আছে। সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর পর বাইডেন দেশটির প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি জাতিসংঘ প্রস্তাব লঙ্ঘনের মারাত্মক পরিণতির ব্যাপারে উত্তর কোরিয়াকে সতর্ক করেছেন।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিম জং উনের সঙ্গে নাটকীয়ভাবে ব্যক্তিগত বৈঠক করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করলেও নতুন মার্কিন প্রশাসন কিমের সঙ্গে আলোচনা শুরু করার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।
Comments