মার্চে ৪০৯ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫১৩, আহত ৫৯৮

চলতি বছরের মার্চে দেশে ৪০৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫১৩ জন নিহত এবং ৫৯৮ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৬৩ জন শিশু এবং ৭৮ জন নারী বলে জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
Road Safety Foundation.jpg

চলতি বছরের মার্চে দেশে ৪০৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫১৩ জন নিহত এবং ৫৯৮ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৬৩ জন শিশু এবং ৭৮ জন নারী বলে জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

আজ সোমবার রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ১৩৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১৪৭ জন, যা মোট নিহতের ২৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১৩৬ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২৬ দশমিক ৫১ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৮২ জন, যা মোট নিহতের ১৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ।

একই সময়ে দুটি নৌ-দুর্ঘটনায় দুজন নিহত এবং আট জন আহত হয়েছেন। ১৫টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত এবং ছয় জন আহত হয়েছেন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন সাতটি জাতীয় দৈনিক, পাঁচটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।

ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ১১৯টি দুর্ঘটনায় নিহত ১৩৬ জন। সবচেয়ে কম বরিশাল বিভাগে। ২১টি দুর্ঘটনায় নিহত ২৬ জন। একক জেলা হিসেবে চট্টগ্রাম জেলায় সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ১৭টি দুর্ঘটনায় ৩৩ জন নিহত। সবচেয়ে কম বাগেরহাট জেলায়। একটি দুর্ঘটনা ঘটলেও কেউ হতাহত হয়নি।

দেশে সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল, তরুণ ও যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি ও গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজিকে উল্লেখ করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের সুপারিশগুলো হলো- দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি করতে হবে, চালকের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করতে হবে, বিআরটিএ’র সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে, পরিবহনের মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা পার্শ্বরাস্তা (সার্ভিস লেন) তৈরি করতে হবে, পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করতে হবে, গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে, রেল ও নৌ-পথ সংস্কার ও সম্প্রসারণ করে সড়ক পথের ওপর চাপ কমাতে হবে, টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে এবং ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ বাধাহীনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, গত ফেব্রুয়ারি মাসে ৪০৬টি দুর্ঘটনায় ৫১৭ জন নিহত হয়েছিলেন। প্রতিদিন নিহতের গড় ১৮ দশমিক ৪৬ জন। মার্চ মাসে প্রতিদিন নিহত হয়েছের গড়ে ১৬ দশমিক ৫৪ জন। এই হিসাবে মার্চ মাসে প্রাণহানি কমেছে ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ। উল্লেখ্য, প্রাণহানি কমার এই হার কোনো টেকসই উন্নতি সূচক নির্দেশ করছে না।

Comments

The Daily Star  | English

Over 5,500 held in one week

At least 738 more people were arrested in the capital and several other districts in 36 hours till 6:00pm yesterday in connection with the recent violence across the country.

14h ago