ভার্চুয়াল বেঞ্চ বাড়ানোর দাবিতে আইনজীবীদের মানববন্ধন
লকডাউনে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তিতে আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের আরও ভার্চুয়াল বেঞ্চ গঠনের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের একাংশ।
আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি (এসসিবিএ) কার্যালয় চত্বরে সাধারণ আইনজীবী পরিষদ ব্যানারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
এসসিবিএ’র সাবেক সেক্রেটারি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদীর নেতৃত্বে মানববন্ধনে আইনজীবীরা বলেন, করোনা মহামারিতে প্রধান বিচারপতি সাত দিনের জন্য মাত্র চারটি হাইকোর্ট বেঞ্চ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এদিকে আজ কোনো বেঞ্চ বসেনি।
তারা বলেন, আদালত না থাকায় হাজার হাজার মামলাকারী ও আইনজীবীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
মামলার শুনানি ও নিষ্পত্তি করতে আইনজীবীরা প্রধান বিচারপতিকে আরও কয়েকটি বেঞ্চ গঠনের আহ্বান জানান।
মানববন্ধনে সাধারণ আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী বলেন, ‘মহামারিতে ৩৫টি হাইকোর্ট বেঞ্চ ভার্চুয়াল বিচার কাজ চালানোর সক্ষমতা অর্জন করেছেন।’
‘তাহলে চলমান লকডাউনে কেন কেবল চারটি হাইকোর্ট বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে। মামলা পরিচালনা করতে মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত ও মহানগর হাকিম আদালতের অধীনে কেন কেবল একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সাধারণ আইনজীবীরা এটি প্রধান বিচারপতির কাছ থেকে জানতে চায়,’ বলেন তিনি।
আগামীকাল থেকে ভার্চুয়াল বিচার কাজ পরিচালনা করতে ৩৫ ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ গঠন করতে এবং দেশব্যাপী জেলা ও দায়রা জজ ও ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে ভার্চুয়াল আদালত চালানোর নির্দেশ দিতে প্রধান বিচারপতির কাছে দাবি জানান মমতাজ উদ্দিন আহমদ।
মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে আইনজীবী পরিষদের সদস্য সচিব রফিকুল হক তালুকদার, সদস্য সৈয়দ মামুন মাহবুব, এস এম মাসুদ আহমেদ দোলন, জুলহাস উদ্দিন, মোজাম্মেল হক, সিরাজুল ইসলাম স্বপন, মো. ইউনুস আলী আকন্দ ও এ আর রায়হান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত মামলার ভার্চুয়াল শুনানি ও নিষ্পত্তি করতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন গতকাল হাইকোর্টের জন্য তিনটি ডিভিশন বেঞ্চ (দুই বিচারক) এবং একটি এক বিচারকের বেঞ্চ গঠন করেন।
ডিভিশন বেঞ্চগুলো হলো বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন এবং বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের বেঞ্চ। আর বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম সরকারকে নিয়ে এক সদস্যের বেঞ্চ গঠন করা হয়।
করোনা পরিস্থিতির কারণে আজ থেকে আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত আদালতের কার্যক্রম সীমিত আকারে পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
Comments