তামিম এই মুহূর্তে টেস্ট ও ওয়ানডে নিয়ে ভাবছে: হাবিবুল
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ না খেলা তামিম ইকবাল এই মুহূর্তে টেস্ট আর ওয়ানডে নিয়েই ভাবছেন, এমনটা জানিয়েছেন জাতীয় নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। টি-টোয়েন্টিতেও তামিমকে পাওয়ার আশা থাকলেও তাকে ছাড়া এই সংস্করণে এগিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতিও তাদের আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
হতাশার নিউজিল্যান্ড সফরে জাতীয় দলের সঙ্গে ছিলেন হাবিবুল। দুই সংস্করণের ছয় ম্যাচে সবগুলোতেই হারের সঙ্গে দলের অ্যাপ্রোচও ছিল যথেষ্ট প্রশ্নবিদ্ধ।
একটি ওয়ানডে আর একটি টি-টোয়েন্টিতে জেতার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ফিল্ডারদের ব্যর্থতায় তা ভেস্তে যায়।
ওয়ানডে সিরিজের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজ না খেলেই দেশে ফেরত আসেন তামিম। চোটের কারণে টি-টোয়েন্টি সিরিজের কোন ম্যাচে পাওয়া যায়নি মুশফিকুর রহিমকে। শেষ ম্যাচে চোটের কারণে খেলেননি মাহমুদউল্লাহও।পাঁচ বড় তারকাকে ছাড়া খেলতে নামে বাংলাদেশ। সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যমে সাক্ষাতকারে একটি সংস্করণ থেকে সরে দাঁড়ানোর আভাস দেন তামিম।
সোমবার এই ব্যাপারেই হাবিবুল জানান, তামিমের মূল অগ্রাধিকার টেস্ট ও ওয়ানডে। তবে টি-টোয়েন্টিতেও এখনো থাকছেন তিনি, ‘তামিম এই মুহূর্তে টেস্ট ও ওয়ানডে নিয়ে ভাবছে। টি-টোয়েন্টি থেকে একদম পুরোপুরি বিদায় নেয়নি।’
করোনাভাইরাসের সময় লম্বা হওয়াতেই জৈব সুরক্ষা বলয়ে খেলাটা হয়েছে কঠিন। এই কারণেই সবাইকে সব সময় পাওয়া যাবে না বলে মত হাবিবুলের, ‘সবাইকে বুঝতে হবে যে মহামারীর সময়টা সবার জন্য কঠিন। খেলোয়াড়দের জায়গায় নিজেকে দাঁড় করালে বুঝতে পারবেন কতটা কঠিন জীবন। আপনি দেশের মাটিতে আছেন একমাস পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারছেন না। ওরা কিন্তু এসবের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে প্রায় এক বছর। পরিবারের সঙ্গে চারদিন থেকে আবার চলে যায়। নিউজিল্যান্ড থেকে এসে এক সপ্তাহ পর আবার শ্রীলঙ্কায়। আর যারা অনেকদিন খেলে পেলে তাদের জন্য কিন্তু পরিবারকে সময় দেওয়া প্রয়োজন হয়। শুধু আমাদের দেশে নয় সবাই এরকম করছে। ইংল্যান্ড তো রোটেশন পদ্ধতি চালুও করে দিয়েছে। আমরা হয়তো অতটা করবোনা। কিন্তু তারা যদি একটা দুইটা ফরম্যাট বাছতে চায় সেটা আমাদের সবাইকে বুঝতে হবে।’
তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় তামিম এভেইলেবল থাকবেন বলে ধারণা হাবিবুলের। একই সঙ্গে নতুনদের তৈরি করে রাখা ও তাদের পর্যাপ্ত সময় দেওয়ার পক্ষে নির্বাচকরা, ‘একটা না একটা সময় নতুন কাউকে আসতেই হবে। এটা ৩-৪ বছর পরে হোক কিংবা তারও আগে হোক। আমরা নতুনদের কাছ থেকে সাকিব-তামিমের পারফরম্যান্স আশা করছি। এটা সবার দ্বারা সম্ভব হবে না। সাকিব, তামিমও কিন্তু সময় নিয়েছে ২-৩ বছর বা আরও বেশি সময় লেগেছে এখনকার অবস্থানে আসতে। আমরা যদি ধৈর্য ধরি একটু সময়ে দিই... আমি বলছি ছেলেরা কিন্তু যথেষ্ট প্রতিভাবান।’
Comments