শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪, এখনো নিখোঁজ ২

নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যায় কার্গো জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চডুবির ঘটনায় আরও পাঁচ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ জনে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আরও দুই জন।
নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যায় ডুবে যাওয়া সাবিত আল হাসান নামের লঞ্চটিকে তোলা হয়েছে। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যায় কার্গো জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চডুবির ঘটনায় আরও পাঁচ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ জনে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আরও দুই জন।

আজ মঙ্গলবার ভোর থেকে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত শীতলক্ষ্যা নদীর কয়লাঘাট এলাকায় ভাসমান অবস্থায় পাঁচ জনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।

নারায়ণগঞ্জ নৌ পুলিশের পুলিশ সুপার (এসপি) মিনা মাহমুদা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ভোর ৬টা থেকে এক এক করে মরদেহগুলো শীতলক্ষ্যার কয়লাঘাট এলাকায় ভেসে ওঠতে শুরু করে। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত পাঁচ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো তাদের পরিচয় জানা যায়নি। শনাক্তের পর স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘উদ্ধার কাজ চলমান রয়েছে।’

গত রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থেকে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া সাবিত আল হাসান নামের লঞ্চটিকে পিছন থেকে একটি কার্গো জাহাজ ধাক্কা দিলে শীতলক্ষ্যার কয়লাঘাট এলাকায় তা ডুবে যায়।

ঘটনার পর তাৎক্ষণিক পালিয়ে যায় কার্গো জাহাজটি। এতে ওই রাতে পাঁচ জনের মরদেহ উদ্ধার করে দমকল বাহিনীর ডুবুরিরা।

গতকাল সোমবার দুপুরে বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় লঞ্চটিকে নদী থেকে তুলে আনে। পরে লঞ্চের ভেতর থেকে ২২ জনের মরদেহ বের করা হয়। সেদিন সন্ধ্যায় শীতলক্ষ্যায় ভাসমান অবস্থায় আরও দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুন:

শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৯, এখনো নিখোঁজ ৭

শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি: আরও ২২ জনের মরদেহ উদ্ধার, মোট ২৭

নারায়ণগঞ্জ: ডুবে যাওয়া লঞ্চ এখনো তোলা যায়নি

শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি: ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার

অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago