নোয়াখালীর বাজারগুলোতে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি
লকডাউনে নোয়াখালীর বেশিরভাগ উপজেলা শহরে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। জেলার বেগমগঞ্জ চৌমুহনী বাজার, চাটখিল, সোনাইমুড়ি, সেনবাগ, কোম্পানীগঞ্জসহ বিভিন্ন উপজেলায় লোকসমাগম এবং যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক আছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে চাটখিল বাজার ঘুরে দেখা যায়, কাঁচাবাজার স্থানান্তরের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট পালন করছেন। বাজার করতে এসে সবজি না পেয়ে খালি হাতে ফিরে গেছেন ক্রেতারা। বিভিন্ন সড়কে পিকআপ ভ্যান, ব্যাটারিচালিত রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলছে। অলিগলির বিভিন্ন দোকানে চলছে আড্ডা। বাজারে আসা অধিকাংশ লোকের মুখে মাস্ক নেই।
বেলা ১২টার দিকে চাটখিল পূর্ব বাজারে গিয়ে দেখা যায়, জনতা ব্যাংকে শতাধিক ব্যক্তি পেনশন ও ভাতার টাকা তুলতে এসেছেন। তাদের অধিকাংশের মুখে নেই মাস্ক।
রামগঞ্জ-চাটখিল-সোনাইমুড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন মোড়ে রিকশার জটলা দেখা গেছে।
যোগাযোগ করা হলে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘লকডাউন শুরুর আগে থেকেই পুলিশ জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে কাজ শুরু করেছে। হাজার হাজার পথচারীদের মধ্যে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার সম্পর্কে নির্দেশনা ও সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি এগুলো বিতরণ করা হয়েছে। এরপরও কিছু লোক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে চাইছেন না। পুলিশ এ নিয়ে কাজ করছে।’
নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘লকডাউন কার্যকর করতে এবং জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে নয়টি উপজেলায় ১৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং জেলা শহরে চার জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল টিম গঠন করা হয়েছে।’
তিনি জানান, লকডাউনের প্রথম দিন সন্ধ্যায় জেলার বিভিন্ন স্থানে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১৩১টি মামলা হয়। এসব মামলায় এক লাখ ৪০ হাজার ৩৯০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়। এ ছাড়াও, এক হাজার মাস্ক বিতরণ করা হয়।
Comments