৩০২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্প’র কাজ শুরু

কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের মাঝে কৃষিযন্ত্র বিতরণ শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রণালয় ৩ হাজার ২০ কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে।
স্টার ফাইল ছবি

কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের মাঝে কৃষিযন্ত্র বিতরণ শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রণালয় ৩ হাজার ২০ কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে।

আজ প্রকল্পের কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক জানান, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্প বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্র, কৃষি উন্নয়ন ও খামার যান্ত্রিকীকরণে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করবে। এই যন্ত্রগুলো কৃষিকাজের খরচ কমিয়ে মুনাফা বাড়াবে এবং কৃষকদের সময়মতো বীজ বুনতে ও ফসল কাটতে সহায়তা করবে।

ভার্চ্যুয়াল আয়োজনে সারাদেশের প্রায় সাড়ে চার শ কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষক অংশ নিয়েছেন। নেত্রকোণা থেকে ভার্চ্যুয়াল আয়োজনে যুক্ত হন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু। তিনি কৃষকদের মাঝে কৃষিযন্ত্র বিতরণ করেন। উদ্বোধনী দিনে দেশের ১৫ জায়গায় কৃষিযন্ত্র বিতরণ করা হয়।

পাঁচ বছরের এই প্রকল্পে প্রায় ৫১ হাজার ৩০০টি কৃষিযন্ত্র ৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে হাওড় ও উপকূলীয় জেলাগুলোতে এবং দেশের বাকি অংশে ৫০ শতাংশ ভর্তুকিতে বিতরণ করা হবে।

চলতি অর্থবছরের মধ্যেই দেশের পাঁচ শ উপজেলায় অন্তত পাঁচ হাজার ৭৭৬টি কৃষিযন্ত্র বিতরণ করা হবে। যন্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে— এক হাজার ৬১৭টি কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার, ৭০১টি রিপার ও ১৮৪টি রাইস ট্রান্স-প্ল্যান্টার। এ ছাড়াও, রয়েছে— সিডার, বেড প্ল্যান্টার, পাওয়ার থ্রেশার, মেইজ শেলার, ড্রায়ার, পটেটো ডিগার ও চিপস বানানোর যন্ত্র।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘১০-১৫ বছর আগেও বাংলাদেশের কৃষি ছিল সনাতন পদ্ধতির। চাষাবাদ, মাড়াইসহ সব কাজ মানুষকে শারীরিকভাবে করতে হতো। লাঙলে চাষ হতো। এখন যন্ত্র দিয়ে জমি চাষ ও মাড়াই হচ্ছে। কিন্তু, ধান কাটা ও রোপণ মানুষকে করতে হচ্ছে। এতে ফসল উৎপাদনে খরচ অনেক বেশি ও সময় সাপেক্ষ। সেজন্য বর্তমান সরকার ২০০৯ সাল থেকে গত ১২ বছর ধরে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।’

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। এখন কৃষিতে সরকারের মূল লক্ষ্য হলো কৃষিকে আধুনিকায়ন ও লাভজনক করা। কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে কৃষিকে আধুনিকায়ন ও লাভজনক করতে সরকার নানা উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছে। এই প্রকল্প হলো তার অনন্য উদাহরণ। এর মাধ্যমে কৃষি লাভজনক হবে এবং গ্রামীণ মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে বলে আশা করা যায়’, বলেন তিনি।

কৃষিযন্ত্রের মাধ্যমে সময়মতো বোরো ধান কাটার কথা উল্লেখ করে সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মীদেরকে কৃষকদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রী।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ বলেন, ‘৪৮ লাখ হেক্টর জমির বোরো ধানের পুরোটা যন্ত্র দিয়ে কাটতে পারলে পাঁচ হাজার ২৭১ কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

9h ago