লিভারপুলকে হারিয়ে খুশি, গর্বিত ও সন্তুষ্ট জিদান
![zidane and vini zidane and vini](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/zidane_and_vini.jpg?itok=5KfMtwqe×tamp=1617774215)
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের পথে অনেকটা এগিয়ে গেল রিয়াল মাদ্রিদ। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, মার্কো আসেনসিও, টনি ক্রুসদের নৈপুণ্যে তারা হারাল লিভারপুলকে। শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার পর রিয়ালের কোচ জিনেদিন জিদানের কণ্ঠে ঝরল তৃপ্তি।
আলফ্রেদো দি স্তেফানো স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ৩-১ গোলে জিতেছে রিয়াল। ঘরের মাঠে প্রতিযোগিতার রেকর্ড ১৩ বারের চ্যাম্পিয়নদের পক্ষে জোড়া গোল করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস। অন্য গোলটি আসে স্প্যানিশ উইঙ্গার আসেনসিওর পা থেকে। লিভারপুলের পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন মোহামেদ সালাহ। প্রতিপক্ষের মাঠে গোল পাওয়ায় তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর ভালো সম্ভাবনা রয়েছে।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে জিদান প্রকাশ করেন তীব্র উচ্ছ্বাস। পাশাপাশি লিভারপুলের বিপক্ষে ফিরতি লেগের জন্যও শিষ্যদের সতর্ক করে দেন তিনি, ‘আমি ভালো অনুভব করছি। সবকিছুর মিশ্রণ রয়েছে এখানে। আমরা দারুণ একটি ম্যাচ খেললাম। যদিও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আমাদের কিছুটা অসুবিধা হয়েছিল। আমি সবার জন্য গর্বিত। কিন্তু আরেকটি লেগ রয়েছে। আমরা খুশি ও সন্তুষ্ট। তবে দ্বিতীয় লেগ এখনও বাকি।’
![real madrid liverpool real madrid liverpool](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/real_madrid_liverpool.jpg?itok=PEa3nLwr×tamp=1617774356)
২০১৭-১৮ মৌসুমের ফাইনালে রিয়ালের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপার স্বপ্ন ভেঙে গিয়েছিল লিভারপুলের। প্রত্যাশা থাকলেও ইয়ুর্গেন ক্লপের দলের প্রতিশোধ এবার নেওয়া হয়নি। প্রথমার্ধে তারা ছিল রীতিমতো নির্বিষ। রিয়াল দুই সেন্টার-ব্যাক সার্জিও রামোস ও রাফায়েল ভারানেকে ছাড়া খেলতে নামলেও তাদের রক্ষণে ভীতি ছড়াতে পারেনি অলরেডসরা।
লিভারপুলের রক্ষণভাগেও ছিল মূল তারকাদের অনুপস্থিতি। কিন্তু রিয়ালের নাচো ফার্নান্দেজ ও এদার মিলিতাও যেভাবে অভিজ্ঞ তারকাদের ঘাটতি পূরণ করেন, সেভাবে পারেননি সফরকারীদের দুই সেন্টার-ব্যাক। ফলে শুরু থেকেই চাপে পড়তে হয় তাদের। ভিনিসিয়ুসের লক্ষ্যভেদে ২৭তম মিনিটে পিছিয়ে পড়ে তারা। এই গোলে ক্রুসের অবদানের কথা না বললেই নয়! প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা সামনে এগিয়ে আছে দেখে নিজেদের রক্ষণভাগ থেকে উঁচু করে বল বাড়ান এই জার্মান মিডফিল্ডার। বুক দিয়ে বল নামিয়ে বাকিটা সারেন ভিনিসিয়ুস।
![kroos kroos](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/kroos_0.jpg?itok=MOZXq6WM×tamp=1617774326)
নয় মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করে স্বাগতিকরা। এতে দায় আছে লিভারপুলের ডিফেন্ডার ট্রেন্ট-আলেকজান্ডার আর্নল্ডের। ক্রুসের বাড়ানো বল বিপদমুক্ত করতে গিয়ে তিনি যে হেড করেন, তা ছুটে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জালে পাঠান আসেনসিও। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে ম্যাচে ফেরার আভাস দেয় লিভারপুল। ৫১তম মিনিটে মিশরীয় ফরোয়ার্ড সালাহর শটে হাত ছোঁয়ালেও বল গোললাইনের বাইরে রাখতে পারেননি রিয়ালের গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া।
তবে ৬৫তম মিনিটে সব হিসাবনিকাশ শেষ করে দেন ভিনিসিয়ুস। মদ্রিচের পাসে ডি-বক্সের ভেতর থেকে নিশানা ভেদ করেন তিনি। গোল করতে না পারার যে অপবাদ, সেটা ঘুচিয়ে দিতেই যেন নেমেছিলেন এই তরুণ! চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বে রিয়ালের দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতাও হয়ে গেছেন তিনি (২০ বছর ২৬৮ দিন)। তালিকার শীর্ষে আছেন সাবেক তারকা রাউল গঞ্জালেজ।
দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে গুরু জিদানের প্রশংসাও মিলেছে ভিনিসিয়ুসের, ‘আমি তাকে নিয়ে খুব খুশি। কারণ, আসেনসিও কিংবা করিম বেনজেমার মতো তারও গোল করা প্রয়োজন। সে খুব ভালো খেলছে। সে দলকে সাহায্য করছে এবং গোল করে সে নিজেও উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে। তার গোলের ঘাটতি ছিল এবং আজকের (মঙ্গলবার) পর থেকে সে অনেক আত্মবিশ্বাস পাবে।’
Comments