ফখরের সেঞ্চুরিতে দ. আফ্রিকাকে হারিয়ে সিরিজ পাকিস্তানের
ডেভিড মিলার, কাগিসো রাবাদা, আনরিক নরকিয়া, লুঙ্গি এনগিডি, কুইন্টন ডি ককদের মতো এক ঝাঁক তারকা খেলোয়াড়রা নেই একাদশে। দ্বিতীয় সারির দলই সাজিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। আর সেই দল নিয়েই দারুণ লড়াই করে তারা। তবে শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেনি। শেষ ওয়ানডেতে হেরে পাকিস্তানের কাছে সিরিজ খোয়াতে হয় প্রোটিয়াদের।
সেঞ্চুরিয়ানে এদিন দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৮ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩২০ রান তোলে দলটি। জবাবে ৩ বাকী থাকতে ২৯২ রানে অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিকরা। তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নিল পাকিস্তান।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে অসাধারণ লড়াই করে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জেতাতে পারেননি পাকিস্তানের ফখর জামান। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি পেতে পেতেও পাননি। তবে দারুণ ব্যাটিংয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন। এদিনও তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। তাতেই বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় সফরকারী দলটি।
তবে পাকিস্তানের দেওয়া ৩২১ রানের লক্ষ্য শুরুটা খারাপ হয়নি প্রোটিয়াদের। এইডেন মার্করামের সঙ্গে জানেমান মালানের ওপেনিং জুটিতে আসে ৫২ রান। তবে এ জুটি ভাঙতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। দলীয় ১৪০ রানেই টপ অর্ডারের পাঁচ ব্যাটসম্যান ফিরে যান সাজঘরে।
তবে ষষ্ঠ উইকেটে কাইল ভেরেনির সঙ্গে আন্দিল ফেলকুয়ায়োর ১০৮ রানের জুটিতে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরেছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু এ জুটি ভাঙতে লেজ বেড়িয়ে যায় দলটির। শেষ দিকের ব্যাটসম্যানরা দায়িত্ব নিতে ব্যর্থ হন। যদিও শেষ দিকে চেষ্টা করেছিলেন ড্যারিন ডুপাভিলন। কিন্তু তা কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭০ রানের ইনিংস খেলেন ওপেনার মালান। ৮১ বলে ৯টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। ৬২ রানের ইনিংস খেলেন ভেরেনি। ৫৩ বলে সমান ৩টি করে চার ও ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ফেলকুয়ায়োর ব্যাট থেকে আসে ৫৪ রান। ৬১ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন এ অলরাউন্ডার। ডুপাভিলন ১০ বলে করেন ১৭ রান।
পাকিস্তানের পক্ষে ৩৪ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন মোহাম্মদ নাওয়াজ। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি ও হারিস রৌফ।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় পাকিস্তান। দুই ওপেনার ইমাম-উল-হক ও ফখর জামান গড়েন ১২২ রানের জুটি। এরপর ইমাম আউট হলে অধিনায়ক বাবর আজমের সঙ্গে ৯৪ রানের আরও একটি দারুণ জুটি গড়েন ফখর। তবে এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে দলটি। তবে শেষ দিকে হাসান আলী ক্যামিওতে দলীয় রান তিনশ পার করে তারা।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি তুলে ১০১ রানের ইনিংস খেলেন ফখর। ১০৪ বলে ৯টি চার ও ৩টি ছক্কায় এ রান করেন এ ওপেনার। তবে মাত্র ৬ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেছেন অধিনায়ক বাবর। ৮২ বলে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৯৪ রান করেন অধিনায়ক। আরেক ওপেনার ইমাম ৯৬ বলে ৩টি চারের সাহায্যে করেন ৫৭ রান। শেষ দিকে হাসান আলী ১১ বলে ১টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ৪৫ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট পান কেশব মহারাজ। ২টি উইকেট পেয়েছেন মার্করাম।
Comments