ভারতে নতুন রেকর্ড: একদিনে শনাক্ত ১২৬৭৮৯, মহারাষ্ট্রে ৫৯৯০৭
![](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/2021-03-30t104344z_1114947940_rc2mlm9du0j9_rtrmadp_3_health-coronavirus-india-cases.jpg?itok=AB306kGE×tamp=1617861864)
ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও এক লাখ ২৬ হাজার ৭৮৯ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এটিই এখন পর্যন্ত দেশটিতে একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। এর আগে গতকাল করোনায় আক্রান্ত এক লাখ ১৫ হাজার ৭৩৬ জন শনাক্ত হয়েছিল।
এখন পর্যন্ত দেশটিতে এক কোটি ২৯ লাখ ২৮ হাজার ৫৭৪ জন শনাক্ত হয়েছেন। সংক্রমণের দিক থেকে বিশ্বের মধ্যে ভারতের অবস্থান বর্তমানে তৃতীয়তে।
একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৮৫ জন। করোনায় এ পর্যন্ত ভারতে মারা গেছেন এক লাখ ৬৬ হাজার ৮৬২ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৫৯ হাজার ২৫৮ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন এক কোটি ১৮ লাখ ৫১ হাজার ৩৯৩ জন।
আজ বৃহস্পতিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্রে। এরপর রয়েছে কেরালা, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিল নাড়ু, দিল্লি ও উত্তর প্রদেশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে শনাক্ত হয়েছেন ৫৯ হাজার ৯০৭ জন। ভারতে করোনার সংক্রমণ শুরুর পর থেকে এটিই মহারাষ্ট্রে একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত।
দেশটিতে মোট শনাক্ত এক কোটি ২৯ লাখ ২৮ হাজার ৫৭৪ জনের মধ্যে বর্তমানে আক্রান্ত রয়েছেন নয় লাখ ১০ হাজার ৩১৯ জন। বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী চার সপ্তাহকে ‘অত্যন্ত সংকটজনক’ সময় হিসেবে ঘোষণা করেছে ভারত সরকার।
ভারতে এখন পর্যন্ত নয় কোটির বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে বলেও এনডিটিভি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে ১২ লাখ ৩৭ হাজার ৭৮১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আর এখন পর্যন্ত পরীক্ষা করা হয়েছে ২৫ কোটি ২৬ লাখ ৭৭ হাজার ৩৭৯টি নমুনা।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩০ জানুয়ারি ভারতে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, সংক্রমণের দিক থেকে বর্তমানে বিশ্বে ভারতের অবস্থান তিন নম্বরে। ভারতের আগে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিল।
জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ কোটি ২৯ লাখ ৭৬ হাজার ২৮৬ জন এবং মারা গেছেন ২৮ লাখ ৮৬ হাজার ৫৮৬ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন সাত কোটি ৫৬ লাখ ছয় হাজার ৯২০ জন।
আরও পড়ুন:
Comments