ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় থানা ও ফাঁড়িতে পুলিশের এলএমজি পোস্ট

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নয়টি থানা, পুলিশ লাইনস, তদন্ত কেন্দ্র এবং ১২টি পুলিশ ক্যাম্প ও ফাঁড়িতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে ভারি অস্ত্রে সজ্জিত এলএমজি পোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। একই সঙ্গে সবগুলো স্টেশনে পুলিশের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ ক্যাম্প ও ফাঁড়িতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে ভারি অস্ত্রে সজ্জিত এলএমজি পোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। ছবি; মাসুক হৃদয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নয়টি থানা, পুলিশ লাইনস, তদন্ত কেন্দ্র এবং ১২টি পুলিশ ক্যাম্প ও ফাঁড়িতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে ভারি অস্ত্রে সজ্জিত এলএমজি পোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। একই সঙ্গে সবগুলো স্টেশনে পুলিশের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করে। এদিন দুপুর থেকে এসব পোস্টে আধুনিক ও ভারি অস্ত্রসহ প্রশিক্ষিত পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।

জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ডিআইও-১) মো. ইমতিয়াজ আহাম্মেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত তিন দিনে হেফাজতে ইসলামের বিভিন্ন সহিংসতা ও ধ্বংসাত্মক কর্মসূচির কারণে জেলার বিভিন্ন থানা, ফাঁড়িসহ অন্যান্য পুলিশ স্থাপনায় এমন নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।’

তিনি জানান, নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে জেলা পুলিশের আওতাধীন ২৭টি পুলিশ স্থাপনায় বালুর বস্তা দিয়ে বিশেষ ধরণের নিরাপত্তা চৌকি বসানো হয়েছে। এর মধ্যে, পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে একটি, পুলিশ লাইনসে চারটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানাসহ নয়টি থানায়, চারটি পুলিশ ফাঁড়িতে, দুটি তদন্ত কেন্দ্রে ও ছয়টি পুলিশ ক্যাম্পে এলএমজি পোষ্ট স্থাপন করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এসব নিরাপত্তা পোস্টে আধুনিক ও ভারি অস্ত্রসহ প্রশিক্ষিত পুলিশ সদস্যদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে কোনো দুষ্কৃতিকারী যেন পুলিশ স্থাপনায় হামলা বা সহিংসতা ঘটাতে না পারে সেজন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিয়মিত মনিটরিং করবেন।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ২৬ মার্চ চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকরা। পরে হরতাল ডেকে ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অন্তত ৫৮টি সরকারি-বেসরকারি স্থাপনাসহ রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিমালিকানাধীন সম্পদ ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে নষ্ট করে তারা। এসব ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ৪৮টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় এজাহারভুক্ত ২৮৮ জনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩৫ হাজার লোককে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে গত দুই সপ্তায় ৫৫ জনকে গ্রেপ্তার করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

আরও পড়ুন:
৩ দিনে ঝরে গেল ১৩ প্রাণ, হেফাজতের দাবি ১৭

Comments

The Daily Star  | English

Labour bill put on the shelf

In an almost unheard-of move, President Mohammed Shahabuddin has sent a labour law amendment back to parliament for reconsideration, expressing concern over the proposed punishment of workers for wrongdoings.

5h ago