হিমছড়ি সৈকতে আরও একটি তিমির মরদেহ

Whale.jpg
প্রায় ৪০ ফুট লম্বা তিমিটির ওজন তিন টনেরও বেশি বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা। ৯ এপ্রিল ২০২১। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

কক্সবাজারের হিমছড়ি সমুদ্র সৈকতে একদিনের ব্যবধানে আরও একটি বিশালাকৃতির তিমির মরদেহ ভেসে এসেছে।

আজ শনিবার সকাল ৬টায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিনড্রাইভ সংলগ্ন সৈকতে জোয়ারের পানিতে ভেসে আসা তিমিটি প্রথমে দেখতে পান স্থানীয়রা।

গতকাল শুক্রবার হিমছড়ি সৈকতের যে স্থানে একটি তিমির মরদেহ ভেসে এসেছিল তার থেকে পৌনে এক কিলোমিটার দক্ষিণে পাওয়া যায় নতুন এই তিমির মরদেহ।

আজ সকাল সোয়া ১০টায় সামুদ্রিক প্রাণীকুল নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা মেরিন লাইভ অ্যালায়েন্সের একটি দল ঘটনাস্থলে আসে।

সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘আজ যে তিমিটির মরদেহ ভেসে এসেছে তার দৈর্ঘ্য ৪৩ ফুট ও প্রস্থ ১৪ ফুট। এর কান প্রায় ১৪০ ইঞ্চি। এ প্রজাতির তিমি সাধারণত গভীর সাগরে দলবেঁধে থাকে।’

এই প্রজাতির তিমি বিশেষ করে সুন্দরবন সংলগ্ন গভীর সাগরে অবস্থান করে থাকে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এই প্রজাতির তিমি সর্বোচ্চ ৯০ বছর আয়ু পেয়ে থাকে। আজ ভেসে আসা তিমিটির বয়স আনুমানিক ৫০ বছর। এটা অন্তত ১৫ দিন আগে মারা গেছে বলে মনে হচ্ছে।’

‘বড় ধরণের আঘাতে তিমিটি মারা গেছে বলে মনে হচ্ছে। মরদেহের বিভিন্ন অংশ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যাবে তিমিটি কীভাবে মারা গেছে,’ যোগ করেন তিনি।

মেরিন লাইভ অ্যালায়েন্সের কর্মী আবদুস সালাম জানান, এর আগেও সেন্টমার্টিন, টেকনাফ, শামলাপুর সৈকতে তিমির মরদেহ ভেসে এসেছিল।

কক্সবাজার দক্ষিণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘তিমিটির মরদেহের ময়নাতদন্ত করবেন প্রাণী চিকিৎসকরা। গতকাল যে তিমিটি ভেসে এসেছিল সেটিরও ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আমিন আল পারভেজ বলেন, ‘তিমিটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবেশ যাতে দূষিত না হয় সে জন্য দ্রুত সেটি মাটির নিচে পুঁতে ফেলার প্রস্তুতি চলছে।’

 

আরও পড়ুন: হিমছড়ি সৈকতে ভেসে এল প্রায় ৪০ ফুট লম্বা তিমির মরদেহ

Comments

The Daily Star  | English
rally demanding ban on awami league in Dhaka

Blockade at Shahbagh demanding AL ban

The demonstration follows a sit-in that began around 10:00pm last night in front of the Chief Adviser's residence

5h ago