রাতে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা

আলফ্রেদো দি স্তেফানো স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত একটায়।
el classico
ছবি: লা লিগা টুইটার

স্প্যানিশ লা লিগার শিরোপা নিয়ে সাধারণত চলে দ্বিমুখী লড়াই। রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার মধ্যে। এবার অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ যুক্ত হওয়ায় বেড়েছে উত্তেজনার মাত্রা। লিগের আর মাত্র নয় রাউন্ড বাকি। তিনটি ক্লাবেরই রয়েছে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা।

এমন জমজমাট যখন পরিস্থিতি, তখন মাঠে গড়াতে যাচ্ছে মৌসুমের দ্বিতীয় এল ক্লাসিকো। শনিবার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল ও বার্সা। আলফ্রেদো দি স্তেফানো স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত একটায়।

চলতি লিগে দুদলের প্রথম দেখায় জিতেছিল জিনেদিন জিদানের রিয়াল। রোনাল্ড কোমানের বার্সাকে তাদের ঘরের মাঠ ন্যু ক্যাম্পেই হারিয়েছিল লস ব্লাঙ্কোসরা। কাতালানদের বিপক্ষে তারা জিতেছিল ৩-১ গোলে।

এবারের লড়াইয়ের ফল লিগের শিরোপা নির্ধারণে নিঃসন্দেহে রাখবে বিরাট ভূমিকা। কারণ, পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ তিন দলের মধ্যে পয়েন্টের ব্যবধান মাত্র ৩। তাই সবার জন্যই ম্যাচটি মহাগুরুত্বপূর্ণ।

লিগের ২৯ রাউন্ড শেষে এক নম্বরে থাকা অ্যাতলেতিকোর অর্জন ৬৬ পয়েন্ট। দিয়েগো সিমিওনের দলের চেয়ে মাত্র ১ পয়েন্টে পিছিয়ে আছে বার্সেলোনা। সম্প্রতি দুইয়ে উঠে আসা দলটির পয়েন্ট ৬৫। তিনে নেমে যাওয়া বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়ালের নামের পাশে ৬৩ পয়েন্ট।

ভক্ত-সমর্থক ও বিশেষজ্ঞদের অনেকে এল ক্লাসিকোকে দেখছেন লা লিগার শিরোপা নির্ধারক হিসেবে। তবে জিদান ও কোমানের ভাবনা ভিন্ন এবং মিলেছে একই বিন্দুতে। তাদের মতে, এই লড়াইয়ের ফল অনেক তাৎপর্যপূর্ণ হলেও সামনে আরও পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে।

ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে জিদান বলেছেন, ‘ম্যাচে হারার কথা কিংবা হারলে কী হবে, সেসব নিয়ে আমি ভাবছি না... ম্যাচ শেষে পরিস্থিতি কী দাঁড়ায়, তখন দেখব। ম্যাচে আমরা নিজেদের উজাড় করে দিব। আমরা ইতিবাচক আছি এবং নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে মুখিয়ে।’

কোমান জানিয়েছেন, ‘(ক্লাসিকোর) ফল শিরোপা নির্ধারণ করবে, তা নয়। কারণ, আরও অনেক ম্যাচ বাকি থাকবে এবং যেকোনো দলের পক্ষেই সব ম্যাচ জেতা খুব কঠিন। তবে যারা ক্লাসিকো জিতবে, তারা সামনের পথচলায় মানসিকভাবে অনেক শক্তি পাবে।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago